ভোলায় প্রকাশ্যেই বিধবা নারীর উপর হামলা চালিয়েছে ইউপি মেম্বারের ছেলে
ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা শশীভূষণ থানা ৮ নং চর কলমি ইউনিয়নের মৃত মোঃ মফিজুল ইসলাম মুন্সীর স্ত্রী, ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসাঃ দিলারা বেগম অভিযোগ করে বলেন।
আমার স্বামী মৃত মোঃ মফিজুল ইসলাম মুন্সি মোঃ ইউছুফ আলী মেম্বার বাড়িতে থেকে ৪০ শতাংশ জমি খরিদ করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। দুর্ভাগ্যবশত আমার স্বামী ২০১৯ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে বাবুল মেম্বার ও আমার সৎ ভাই মিলে আমার বাড়ি ঘর জবরদখল করার পাঁয়তারা করেন এবং ভিবিন্ন সময় পুকুরের মাছ ও বাড়ির গাছ জোর জুলুম করে নিয়ে যায়।
এতে আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের উপর এ পর্যন্ত একাধিকবার হামলা করেছেন যার কোন সুস্থ বিচার আমরা পাইনি।
তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘরে আমার বৃদ্ধা মাকে থাকতে দিয়ে সেখান থেকে চলে এসে আমি আমার সন্তান সহ কলমি ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড বসবাস করি।গত (১২ জুলাই সোমবার) বিকাল চার ঘটিকার সময় আমার মাকে দেখতে গেলে আমার সৎ ভাই আলঙ্গীর আমাকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন এ সময় বাবুল মেম্বার এসে বলেন নির্বাচনে আমাকে ভোট দাওনি এ বাড়িতে আসার সাহস দিয়েছে কে এই বলে মোঃ বাবুল মেম্বার (৪৫) পিতা মৃত মোঃ সৈয়দ আহাম্মদ বেপারী,আলঙ্গীর (৪৩)পিতা মোঃ ইউছুফ আলী মেম্বার,মোঃ রিয়াজ (২২) পিতা বাবুল মেম্বার, রাহিমা (৩৭) স্বামী আলঙ্গীর বেপারী মালেকা বেগম (৪০) স্বামী বাবুল মেম্বার, রিয়া (১৮) পিতা বাবুল মেম্বার, আইরিন (১৯) পিতা আলঙ্গীর সহ সকলে মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমি এবং আমার মা রোশনা বেগম, বোন শাহনাজ বেগম,ও শিরিন বেগম সহ সকলের উপর অতর্কিত হামলা ও নির্যাতন ও রক্তাক্ত জখম করে আমার গলায় ঢাকা স্বর্ণের চেইন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও হাতের রুলি নিয়ে যায় পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতলে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুল মেম্বারের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন উভয় পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।