বাঁশখালীতে বন্ধুকযুদ্ধে কিশোরীকে গনধর্ষনের প্রধান আসামী মজিদ নিহত।
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি-ঃ
বাঁশখালীতে বন্ধুকযুদ্ধে কিশোরীকে গনধর্ষনের প্রধান আসামী মজিদ নিহত।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কিশোরী গনধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আবদুল মজিদ (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আব্দুল মজিদ বৈলছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনাপাড়ার জনৈক লেদুমিয়ার সন্তান বলে জানা গেছে।১৪ জুন, রবিবার দিবাগত রাত ২.১৫ টায় বাঁশখালীর চাঞ্চল্যকর এক কিশোরীকে গনধর্ষনের আসামীদের ধরতে র্যাব-৭ অভিযানে আসে। এ সময় র্যাব-৭ এর টীম বিশ্বস্থ সুত্রে জানতে পারে য়ে, উত্তর জলদির ভাদালিয়া এলাকায় হাজী বাড়ী সংলগ্ন জনৈক আনোয়ারের মেহগনি বাগানের ভিতর আত্বগোপনে আছে গনধর্ষন মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মজিদ সহ আরো কয়েকজন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা র্যাব ফোর্সের সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতারী গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।র্যাব-৭ বহদ্দারহাট ক্যাম্পের এএসপি কাজী মুহাম্মদ তারিক আজিজ এ প্রতিবেদককে জানান, ‘গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বাঁশখালী উপজেলার উত্তর জলদির ভাদালিয়া পাড়ায় অভিযানে যায় র্যাব-৭ এর একটি টিম। এসময় মেহগনি বাগানের ভিতর র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে তারা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মজিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব গন্ডামারা এলাকার রিপা আক্তার নামে এক কিশোরী কে বৈলছড়ির ঘোনাপাড়ায় এনে রাতভর কয়েকজনে মিলে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের সাথে জড়িত ৩ জনের বিরুদ্ধে কিশোরীর পিতা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আবদুল মজিদকে প্রধান আসামি করা হয়। এদিকে গন্ডামারার কিশোরী রিপা আক্তারকে গনধর্ষন মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মজিদ র্যাবের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার খবর সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে ভাইর্যাল হয়ে যায়। কুখ্যাত ধর্ষক মজিদ নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে সাধারন জনগন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে র্যাব-৭ কে অভিনন্দিত করে।