জাতীয়

সেনাবাহিনী সদস্যের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানের পাশে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টঃ

সেনাবাহিনী সদস্যের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানের পাশে পুলিশ

স্বামী সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। মৃত্যুর পূর্বে চাকরিসূত্রে প্রাপ্ত সুবিধাদি ও সামান্য সঞ্চয় দিয়ে ছোটো এক টুকরো জমি কিনে দিয়ে গেছেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা এলাকায়।

ছোট্ট সেই জমিতে একটি ঘর তুলে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন সেই বিধবা। কিন্তু, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই জমিটি দখল করার জন্য পায়তারা করতে থাকে প্রভাবশালী একটি মহল। এলাকায় নানা জনের কাছে ধরনা দিয়ে, নানা দেন দরবার করেও কোনো সমাধান হচ্ছিল না। কোনো সিদ্ধান্তই মানছিল না সেই পক্ষ। দুই সন্তানকে নিয়ে সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকতেন সেই বিধবা।

হয়রানি সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে গত ৮ জুলাই ২০২১ খ্রি: সেই বিধবা ভ্রদ্রমহিলা বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লিখেন সহযোগিতার জন্য। ভদ্র মহিলার বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। বার্তাটি ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. আজিম উদ্দিনকে প্রেরণ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে ভদ্রমহিলার সমস্যাটি স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।

বার্তাটি পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণকে এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করেন ওসি। অভিযুক্ত স্থানীয় প্রভাবশালী উক্ত ব্যক্তি জমির মালিকানার স্বপক্ষে গ্রহনযোগ্য কোনো দালিলিক প্রমান দেখাতে ব্যর্থ হন। এর প্রেক্ষিতে, আদাল‌তের নি‌র্দেশ ব্যতীত যে কোনো প্রকার হয়রানি বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। ভবিষ্যতে উক্ত মহিলা ও তার দুই সন্তানকে কোনো প্রকার হয়রানি বা তাদের কোনো ক্ষতির চেষ্টা করা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়।

ভদ্রম‌হিলার সম্ম‌তি ও ইচ্ছায় এক সুলিখিত মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্তকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেয়া হয়। ভদ্র মহিলা ও তার দুই সন্তানকে অভয় দিয়ে আশ্বস্ত করেছে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিধবা ভদ্রমহিলা ও অধ্যয়নরত তার দুই সন্তান।

‌বি:দ্র: জ‌মির মা‌লিকানা নির্ধার‌নের কাজ ক‌রে না পু‌লিশ। ত‌বে, এ সংক্রা‌ন্তে ফৌজদারী বিষয়া‌দির ক্ষে‌ত্রে আই‌নি ব্যবস্থা গ্রহন ক‌রে থা‌কে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button