দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে ব্রাজিল
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজার ৪২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬১ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ আট হাজার ২৯৬ জন। এই সময়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে, অপরদিকে একদিনে সংক্রমণের শীর্ষে ভারত।
আজ সোমবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৯৮০ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয় তিন লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ জনের।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৫১ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৯ জনের। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ কোটি ৮৯ লাখ সাত হাজার ১৮১ জন।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ২১ হাজার ২৯৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৬ জন।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৮৭ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭২ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে চার লাখ দুই হাজার ৭৫৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৪৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৬ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৬ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে তারা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৭৬ জন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৮ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩০ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে দেশে বাড়ছে সংক্রমণের হার ও মৃত্যু। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬৫ জনে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।