বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণকারীকে ছেড়ে দেওয়ার ৭ দিন পর ফের পুলিশর হাতে আটক
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণকারীকে ছেড়ে দেওয়ার ৭ দিন পর ফের পুলিশর হাতে আটক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত যুবককে ছেড়ে দেওয়ার ৭ দিন পর পুনরায় আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকা থেকে ধর্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) আটক করে পুলিশ।সে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুগা মিয়ার বাড়ির আবদুল মান্নানের ছেলে এবং সুমন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড শহীদের ছোট ভাই।
এর আগে গত (২৪ জুলাই) রাতে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু পরের দিন সকাল ১১টার দিকে দেন দরবার করে ছাত্রলীগ নেতা স্বপন ও পলাশ দেলোয়ারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ৭দিন পর ভুক্তভোগী গৃহবধূ (১৯) বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করে।
পরে এ ঘটনায় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশের টনক নড়ে। এরপর পুলিশ পুনরায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃববধূ দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত গৃহবধূর গত বছর সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। অভিযুক্ত যুবক তার সাবেক স্বামীর আপন মামাতো ভাই ছিল এবং তার স্বামীর বাড়িতেই সে তাকে জোরপূর্বক প্রথমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে তার স্বামীর পরিবারকে জানালে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে সে ২০২১ সালের মার্চ মাসে বাবার বাড়িতে চলে আসে। অভিযুক্ত আসামির প্রলোভনে স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তালাক পরবর্তী দেলোয়ার বিয়ের প্রলোভনে একাধিক আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।ওই মামলায় তাকে শুক্রবার সকালে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।