সামরিক সরঞ্জাম কিনতে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি
তুরস্কের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ পূরণের অংশ হিসেবে আঙ্কারায় এ চুক্তি সম্পন্ন হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান ও ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তুরস্ক দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিওসি উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তুরস্কের সরকারি কোম্পানি রকেটসানের সঙ্গে এ চুক্তি হয়েছে। রকেটসান স্থল, সুমদ্র ও আকাশে ব্যবহারযোগ্য ন্যাটোর মানদণ্ড অনুযায়ী অস্ত্র তৈরি করে থাকে। বিশ্বের ডিফেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে রকেটসানের অবস্থান ছিল ৮৯তম।
Türk savunma sanayiimiz kabiliyetlerini dünyanın dört bir yanına ulaştırmaya devam ediyor.
Bangladeş ile imzaladığımız Devletten Devlete (G2G) İşbirliği Mutabakat Muhtıraları kapsamında @roketsan’ın çeşitli ürünlerinin ihracat anlaşması gerçekleştirildi.
Durmak Yok Yola Devam! pic.twitter.com/jyyrrpctFq
— Ismail Demir (@IsmailDemirSSB) June 29, 2021
তুরস্ক ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ডেমির চুক্তি সইয়ের পর এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘রকেটসান থেকে বিভিন্ন সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। থেমো না, এগিয়ে যাও।’
এর আগে, গত ডিসেম্বরে ঢাকা সফরের সময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসুগলোর বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ। এগুলো কেনার জন্য কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে। এ ছাড়া, তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে রাজি আছে।
আঙ্কারায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুসদ মান্নান বলেন, দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রচুর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও সম্পর্ক বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
কী ধরনের এবং কত টাকার অস্ত্র কেনা হবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্রয় করা হবে।’
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট-সিপরি’র তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে কোবরা এপিভি গাড়ি ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল কিনেছে।