ফ্লোরিডায় ভবন ধস।মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১, নিখোঁজ ১৫০
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ধসে পড়া ভবনের কংক্রিট ও স্টিলের ধ্বংস্তূপ থেকে আরও দুটি দেহাবশেষ উদ্ধার করার পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার দুর্ঘটনার চার দিন পরও নিখোঁজের তালিকায় ১৫০ জনের নাম ছিল।
তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দলগুলো কোনো বিরতি ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে, কিন্তু ভারি বৃষ্টি ও সিমেন্টের স্ল্যাবের কারণে ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা বিঘ্নিত হচ্ছে।
মায়ামির কাছে সার্ফসাইড শহরের সমুদ্রমুখি চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ভবনটির ধ্বংসস্তূপের ভেতরে এ পর্যন্ত জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে অধিকাংশ বাসিন্দা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির বড় একটি অংশ ধসে পড়ে।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মায়ামি-ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা বলেন, ‘আমরা লোকজনকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছি, তারা অপেক্ষা করেই যাচ্ছে। এটা অতি যন্ত্রণাদায়ক।’
ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজদের পরিবার ও বন্ধুদের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, ‘আপনজনরা হয়তো আর জীবিত ফিরে আসবেন না, তারা এমন সংবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন কিন্তু তারপরও তাদের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা করে যাচ্ছেন।’
উদ্ধারকর্মীরা, যাদের সঙ্গে মেক্সিকো ও ইসরায়েলের পাঠানো বিশেষজ্ঞরাও আছেন, জীবিত কাউকে পাওয়ার আশায় ক্রেন, কুকুর ও ইনফ্রারেড স্ক্যানার ব্যবহার করছেন; কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
১৫৬ ইউনিটের ১২তলা এই ভবনটির প্রায় অর্ধেক অংশ কী কারণে ধসে পড়েছে তা এখনও অজানাই রয়ে গেছে। এ বিপর্যয় শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অনিচ্ছাকৃত প্রাণঘাতী ভবন ধসের অন্যতম ঘটনা হয়ে উঠতে পারে।