নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছে লোকজন নেমেছে চারিদিকে মানুষের ঢল
শনিবার (২৬ জুন) ভোর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মদনগঞ্জ, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর ও মেঘনা ঘাট এলাকার।
রাজধানীর থেকে যাত্রাবাড়ি, কোনাপাড়া, স্টাফ কোয়াটার, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন পথ ধরে লোকজন এসে নামছে কাচঁপুর, মদনপুর ও মেঘনা ব্রীজ এলাকায়। সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে বাড়িতে যাবেন।
সবাই যথারীতি গুলিস্তান, ডেমরা থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রাবাড়ি তারপর মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে তাদেরকে ঢাকা ছাড়তে দেখা যাচ্ছে। কুমিল্লা,কিশোরগঞ্জ,ভৈরব,চট্রগ্রামমুখি অনেক যাত্রী সকাল সকাল ঢাকা ছাড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। চেক পোস্টে পুলিশ ঘুরিয়ে দিচ্ছে কাউকে কাউকে আবার কেউ কেউ ম্যানেজ করে যাচ্ছে।
সবার ধারণা এবার কঠোর লকডাউন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি নিয়েই এবার ঢাকা ছাড়ছেন তারা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার লোকজন টঙ্গী থেকে নানা উপায়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুঁটছে। সরাসরি বাস বা ট্রেন না পাওয়ায় তাদেরকে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে।
সকাল থেকেই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও ফেরিঘাটে মানুষের ঢল নেমেছে। শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে ১৭টি ফেরি চলাচল করেও মানুষের ভিড় সামাল দিতে পারছে না। একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন হুড়মুড় করে চেয়ার ছেড়ে উঠে পরছে। লোকজনের চাপের কারণে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ফেরিতে উঠতে পারছে না। আবার এই ফেরিঘাট ব্যবহার করে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ ও একেবারে কম না বলে বিআইডব্লিউটিসির ঘাট সূত্র জানিয়েছে।
কঠোর লকডাউনের ঘোষণার পর দক্ষিণাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যারা এতদিন পেশাগত বদ জরুরি কাজের কারণে অবস্থান করছিলেন তারাও এখন ঢাকায় ফিরতে মরিয়া। মানুষের চাপের কারণে যানবাহন পারাপার হতে না পারায় ঘাটের উভয় দিকেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর এলাকায়। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ এই মহা-সড়কের একাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ছিল। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনকে পুলিশ ঢাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ঢাকাগামী ও ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারগুলো ঘুরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এতেও লোকজনের যাতায়াত ঠেকানো যাচ্ছে না।