দেশে খাদ্য সংকটের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেন কিম
উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকটের কথা এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলেন দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী কিম জং-উন।সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেছেন, মানুষের খাদ্যাবস্থা দিনকে দিন চিন্তা বাড়াচ্ছে।
কিম বলেছেন, গত বছরের টাইফুনের কারণে কৃষিখাত বিপাকে পড়েছে। সৃষ্ট বন্যায় লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
উত্তর কোরিয়ায় ঠিক কী হয়, তার সবটা কখনোই জানা যায় না। কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, দেশটিতে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ওদিকে করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ।
উত্তর কোরিয়া তাদের কৃষিখাতের জন্য চীনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সার, তেল থেকে শুরু করে অনেক খাদ্যদ্রব্য চীন থেকে আমদানি করেন কিম।
চীনের সঙ্গে এই সখ্যতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বৈরী সম্পর্ক। অনেক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আছে তাদের ওপর।
সাম্প্রতিক বৈঠকে কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করলেও কোনো লাভ হয়নি।
গত এপ্রিলের আরেকটি বৈঠকে কিম তার কর্মকর্তাদের ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষ এড়ানোর প্রস্তুতি নিতে বলেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের কারণে ওই সময় ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দেয় দেশটিতে। কত মানুষ তখন মারা গিয়েছিলেন, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যা নেই। তবে ধারণা করা হয়, ৩ মিলিয়নের মতো মানুষ প্রাণ হারান!