জেলার খবর

মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৈয়দ হারুন।

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি-ঃ

মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৈয়দ হারুন।

নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন ৫ নং অর্জুনতলা উনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ মানিকপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬৯ সালের ২৫-শে অক্টোবর জন্ম নেয়া “সৈয়দ হারুন।দল-মত,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বমহলে প্রশংসিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। স্কুলজীবন থেকেই ভীষণ মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত, অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদালাপী ও বিনয়ী স্বভাবের এই ব্যক্তি ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসে ১৯৮৬ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের মত শুধু প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েই থেমে থাকেননি বরং সারা সেনবাগে প্রথম স্থান অধিকার করে কুমিল্লা বোর্ডের মেধা তালিকায় সম্মানজনক স্থান করে নেন, যা এখনো ছিলোনিয়া হাই স্কুলের ৫২ বছরের ইতিহাসে একমাত্র বিরল রেকর্ড।
কর্মজীবনের শুরুতেই ১৯৯১ সালের শেষ দিকে তৎকালীন সময়ের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং, লজিস্টিকস ও শিপিং কোম্পানী এনএম এক্সপ্রেসে যোগদান করেন। অল্প সময়ের ব্যাবধানে নিজের অসামান্য যোগ্যতা আর দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ১৯৯৪ সালের প্রথম দিকে মাত্র ৩ বছরের মাথায়ই বেশ কয়েকজন সহকর্মীর সাথে এক্সসেল ফ্রেইট সিস্টেমস লিমিটেড নামে নতুন একটি ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশে আমদানী-রফতানী বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে সংশ্লিষ্ট ইন্ডাষ্ট্রিতে সম্মানজনক অবস্থানে উত্তরণের জন্য অত্যন্ত বিশ্বস্থ কয়েকজন পার্টনারকে সাথে নিয়ে ১৯৯৭ সালে ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের গুরুদায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন টপস্টার কার্গো সিস্টেমস লিমিটেড। তারপর টপস্টার গ্রুপের ব্যানারে একে-একে ২০০২ সালে সেন্ট্রাল এভিয়েশন সার্ভিসেস লিমিটেড যা পরবর্তীকালে সেন্ট্রাল গ্লোবাল লজিস্টিকস লিমিটেড নামে রূপান্তরিত হয়, ২০০৫ সালে প্ল্যানেট ফ্রেইট সার্ভিসেস লিমিটেড, ২০১১ সালে মেগা মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি লিমিটেড, ২০১৬ সালে রিফলাইন লজিস্টিকস যা পরবর্তী কালে রিফলাইন ওয়ার্ল্ডওয়াইড লজিস্টিকস নামে পরিবর্তিত হয়, ২০১৮ সালে কার্গো কেয়ার সেন্টার নামে উত্তরার দিয়াবাড়িতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি ওয়্যারহাউজ তৈরি করেন, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মার্কেন্টাইল ফ্রেইট সিস্টেমস লিমিটেড এবং সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চ মাসে টপস্টার হোল্ডিংস লিমিটেড নামক একটি ল্যান্ড ডেভেলপার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
ছাত্রজীবনে খুবই মেধাবী হওয়ায় মানবিকতার অনন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, এই মহান ব্যক্তি নিজস্ব দায়বদ্ধতা থেকে সম্পূর্ণভাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজ জন্মস্থান ৫ নং ইউনিয়নে শিক্ষার আলো সুবিস্তারে এবং সমাজ উন্নয়নে গত ২৫ বছর যাবৎ নিজস্ব অর্থ আর সামর্থ দিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে স্থানীয় ছিলোনিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে উৎসাহব্যাঞ্জক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৭ থেকে ১০ জন করে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দীর্ঘসময় সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগ করে দেয়া, বিনামূল্যে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষার উপকরণ বিতরণ, দক্ষ ও স্বনামধন্য অবসরপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষকের অবসরের পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য নিজের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করা, নিজের জন্মদাতা পিতার নামে স্থানীয় একটি স্বনামধন্য কিন্ডার গার্টেন স্কুলের নামকরণ করার পাশাপাশি উক্ত স্কুলের জন্য দোতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ সহ আর্থিকভাবে অব্যাহত পৃষ্টপোষকতাকরণ; শিক্ষা,স্বাস্থ্য, দরিদ্র-দূরীকরণ ও সমাজসেবামূলক স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকে বুদ্ধি,পরামর্শ আর উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও সহোযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।এই সবেরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশী অত্যন্ত সুনামের সাথে শিপিং এবং কুরিয়ার ব্যবসার সাথে জড়িত আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য এবং বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান টপষ্টার গ্রুপ অফ কোম্পানিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হারুন নিজস্ব চিন্তা-চেতনা থেকে গত ২০১৯ সালে স্থানীয় এক ঝাঁক তরুণ, উদীয়মান এবং প্রতিশ্রুতিশীল স্বেচ্ছাসেবীদেরকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ মূলক সংস্থা “সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন”।
৫০ টিরও অধিক দেশে ব্যবসার প্রয়োজনে এবং ব্যক্তিগত কারণে এক বা একাধিকবার ভ্রমণ করা নিরহংকার এই বিজনেস ম্যাগনেট ব্যক্তিগত জীবনে তিন কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।
নিজ এলাকার মানুষের নিকট উদার দানশীল, কল্যাণমুখী সমাজসেবক ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হিসেবে ব্যাপকভাবে প্রশংসা কুড়ানো এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের নিকট অতি প্রিয় ও আপনজন হিসেবে পরিচিত এই ব্যাক্তি বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পর্দার অন্তরালে থেকে নিজের কষ্টার্জিত আয়ের গুরুত্তপূর্ণ একটা অংশ ব্যয় করেন স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গুনগত শিক্ষার উন্নয়নে এবং পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্টি ও স্থানীয় অসহায় মানুষের কল্যাণে।
সৈয়দ হারুন যে সমস্থ প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত আছেন বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
👉প্রতিষ্ঠাতা: সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন।
👉প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিষ্ঠাতা: সৈয়দ রুহুল আমিন স্মৃতি একাডেমী।
👉প্রতিষ্ঠাতা ও একমাত্র পৃষ্ঠপোষক: সৈয়দা সাফিয়া আমিন মেধা বৃত্তি পরীক্ষা ও সৈয়দ হারুন বৃত্তি প্রদান সংস্থা
👉সভাপতি: ছিলোনিয়াতে “স্বপ্নের কলেজ” বাস্তবায়ন কমিটি
👉প্রধান পৃষ্ঠপোষক: ব্লাড & হার্ট।
👉প্রধান উপদেষ্ঠা: প্রত্যয়
👉প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও উপদেষ্টা: ইদিলপুর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন
👉অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা : সেনবাগ সেতুবন্ধন
👉অন্যতম পৃষ্ঠপোষক: গোরকাটা নব জাগরণ সংঘ
👉পৃষ্ঠপোষক: দঃ মানিকপুর সবুজ বাংলা সংঘ।
👉আজীবন দাতা সদস্য: ঢাকাস্থ সেনবাগ কল্যাণ সমিতি
👉ব্যাবস্থাপনা পরিচালক: টপস্টার গ্রুপ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button