জেলার খবর

শ্রীপুরে সরকারি রাস্তায় বাঁশের বেড়া থানায় অভিযোগ

মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)

শ্রীপুরে সরকারি রাস্তায় বাঁশের বেড়া থানায় অভিযোগ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে একটি সরকারি রাস্তা একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। রাস্তাটি দিয়ে শত শত লোকজন চলাচল করে, এ রাস্তাটি ঘিরে রাখার কারণে দুর্ভোগে পরেছে এলাকাবাসী।

২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের। গত ২১/০৫/২০২১ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে এ রাস্তা দিয়ে আমি মো:আলমগীর হোসেন ফকির,পিতা,মৃত হাবিবুর রহমান ফকির,নিজ বাড়ীতে আসতে ছিলাম এমন সময় অভিযুক্তকারি ১/খোকা মিয়া(৫৫) ২/নাগর উদ্দিন( ৫০) উভয় পিতা-মৃত জসিম উদ্দিন, ৩/মাসুদ রানা(৪৫)পিতা,মৃত জিল্লুর রহমান, ৪/জাহাঙ্গীর (৩২),৫/আলম(২৫)উভয় পিতা,খোকা মিয়া ৬/বাচ্চু মিয়া(৫০)৭/ফজলু মিয়া,৮/মোবারক হোসেন (৪০)উভয় পিতা,জিল্লুর রহমান, ৯/আজিবর(৪৫)পিতা,মৃত,নজিবর রহমান। সর্ব সাং নগরহাওলা।

আমি বাড়ীতে আসার সময় উক্ত বিবাদী গন আমার চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এবং এক পর্যায়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। উক্ত ৩নং ও ৪ নং বিবাদী গন আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হলে, তাদেরকে ৩০০,০০০/টাকা চাদা দিতে হবে। তখন অভিযোগকারি বলেন সরকারী রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে আবার কিসের চাদা দিতে হবে, এ সময় লাটি,রট ও দা দিয়ে মেরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিলে আমি প্রাণের ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে আসেন বলে তিনি জানান।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এই রাস্তা দিয়ে অনেক পরিবারের চলাচল করে তাদের যাতায়াতে চরম সমস্যা হচ্ছে। এবং বিবাদী গন রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রধান করে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করেছি। বর্তমানে এই রাস্তাটি বাধা থাকায় আরোও অনেক পরিবারের যাতায়াতের চরম দূরভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এবং প্রশাসনিক ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাদী সহ এলাকার সকল মানুষের দূরভোগ থেকে নিরসনের জুর দাবি জানান।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য আবদুল আজিদ সাহেবকে অবহিত করার জন্য মডুফোনের মাধ্যমে একাধিক বার চেষ্টা করার পরেও যোগাযোগ করা যাইনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button