সোনাতলায় চাঁনরাত পর্যন্ত থাকবে জমজমট ঈদের বাজার ব্যবসায়ীরাঃ উপেক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা
বিকাশ চন্দ্র, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
সোনাতলায় চাঁনরাত পর্যন্ত থাকবে জমজমট ঈদের বাজার ব্যবসায়ীরাঃ উপেক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা
করোনা কালিন সময়কে উপেক্ষা করে একেবারেই শেষ মুহুত্বে ঈদের বাজার জমজমাট ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবার সমস্ত দিক। এদিকে ঈদের বাকি ১দিন তাই গ্রাম সহ শহরেও ঈদের আগাম আনন্দ বইতে শুরু করেছে।
গৃহিনিরা বাড়িঘর পরিস্কার করা সহ নিকট আত্নীয়দের স্বাগত জানানোর প্রস্ততি প্রায় শেষের দিকে। অপরদিকে চাঁনরাত পর্যন্ত চলবে জমজমাট বেঁচাকেনা এমন আসা করছেন ব্যবসায়ী মহল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অটোভ্যান গাড়ি সহ ইজিবাইক চালকরা মাস্কহীন অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
স্বরজমিনে সোনাতলার শহরের বিভিন্ন মার্কেট সহ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে আসা প্রায় ক্রেতাদের মুখেই নাই মাস্ক ৷এমনকি বিক্রেতাদের মুখে মাস্ক ছিল না ৷তার কারন হিসাবে বিক্রেতেরা জানালেন মাস্ক মুখে লাগিয়ে কথা বললেও ঠিকমত বুঝে না ক্রেতারা।
এদিকে তৈরী পোষাক,শাড়ীর দোকান,কসমেটিক,জুতার দোকান,মুদিদোকান সহ সকল ধরনের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভীড় এবং তিল ধারনের জায়গাটুকু নেই দোকানগুলিতে।
ঈদ উদযাপন উপলক্ষে নারী পুরুষ সমান ভাবে কেনাকাটা করতে আসলেও সে তুলনায় নারীই বেশী। অতিরক্ত ভীরে ভেঙ্গে পরেছে স্বাস্থ্যসেবার সমস্ত দিক। যদিও সরকারের পক্ষ হতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও সেটি বিন্দুমাত্র মেনে চলেনি ক্রেতা বা বিক্রেতা।
তবে সাধারণ মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ২৫ এপ্রিল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগ করে দেয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টায় খোলার পর রা ৮টার মধ্যে তা বন্ধের শর্তও বেধে দেওয়া হয়।
১২মে বুধবার শহরের বিভিন্ন মার্কেট সহ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের দোকানে মাত্রাতিরক্ত ভীড়ে ক্রেতারা হুমরী খেয়ে পরেছে পণ্য কেনাকাটায়। লাকী নামের একজন ক্রেতা বলেন,আর একদিন পর ঈদ আগেই কিছু পণ্য কিনেছি যেটুকু বাকী ছিল আজকে কিনলাম। আলম নামের একজন ক্রেতা জানালেন,ধান কাটার ভরা মৌসুমে হবে ঈদ।
তাই শেষ মুহুত্বে পরিবারের সবার জন্য মার্কেটে এসে কেনাকাটা করলাম। খুদে শিশু রাহাত ইসলাম সে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাকাটা করতে তার স্বজনদের সাথে এসেছে উপজেলার সিচারপাড়া থেকে। দু হাতে ব্যাগ ভর্তি পণ্য নিয়ে খুশিতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ডাকতেই সে থুমকে দাঁড়িয়ে বললেন এবার ঈদে জামা,প্যান্ট,জুতা,গেঞ্জি,মুজা কিনেছি।