বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ ট্রাজেডী: বাঁশখালী ছাত্র ফোরামের ভার্সুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্টিত
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ ট্রাজেডী: বাঁশখালী ছাত্র ফোরামের ভার্সুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্টিত
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় বেসরকারীভাবে নির্মানাধীন ১৩২০ মেগা:ওয়া: কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৭ এপ্রিল’২১ ইং শনিবার পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে ৫ জন শ্রমিক নির্মমভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
নারকিয়ভাবে ৫ শ্রমিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ১৯ এপ্রিল, সোমবার রাত ১০ টার সময় চট্টগ্রামস্থ বাঁশখালী ছাত্র ফোরাম এক ভার্সুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনে সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ইকবাল হোসেনর সঞ্চালনায় উক্ত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ডক্টর কামাল হোসেন। ভার্সুয়াল আলোচনায় আরো অংশগ্রহন করেন, সাবেক ছাত্রনেতা মো সরওয়ার হোসেন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, ব্যাংকার ইফতেখার সাইমুম, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা মো আজিজ, ব্যাংকার কাওছার হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো শিরাজ, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুল মান্নান, মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ চৌধুরী, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ, রিদুয়ান সিকদার, মোহাম্মদ রাশেদ প্রমূখ।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন: ১৮৮৬ সালে ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে শ্রমিকরা জীবন দিয়েছিল।
আজকে ১০০ বছর পরে বাশঁখালীর গন্ডামারায় আবারও ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে শ্রমিকরা জীবন দিল এটা মর্মান্তিক, এই হত্যাকান্ড মেনে নেওয়া যায় না, শ্রমিক তার বকেয়া মজুরি বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধার দাবিতে আন্দোলন করলে গুলি করে মারার বিধান নেই, শ্রমিকদের সরাসরি গুলি না করে বিক্ষোভ দমানোর আরও অনেক পথ রয়েছে, আমি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি, দোষীদের বিচার চাই। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি করছি, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি, আর মামলা দিয়ে নিরহ শ্রমিকদের হয়রানি না করার অনুরোধ করছি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ডক্টর কামাল হোসেন বলেন: আমি সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি শ্রমিকেরা কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে সেখানে আন্দোলন করেছিল, কর্মঘণ্টা, ছুটি,ওভারটাইম, নামাজ ও ইফতারের বিরতি দাবি করা যৌক্তিক ও শ্রমআইন সিদ্ধ, এই গুলি না দিয়ে বিক্ষোভ দমনের নামে গুলি করে শ্রমিক হত্যা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না,দোষীদের শাস্তি দাবি করছি, আশা করব আগামীতে এসএস পাওয়ার প্লান্টে এই ধরণের হত্যাকান্ড আর হবে না,সারা পৃথিবীতে এই সব ঘটনার কারণে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে।
নিরহ শ্রমিক পেটের দায়ে কাজ করতে যায় সেখানে জীবন দিতে হলে তাদের পরিবার শেষ হয়ে যায়,আমি নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবার কে ক্ষতি পূরণ ও পূনর্বাসনের আহবান করছি।