সেনবাগের অপহ্নত ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ কে উদ্ধার পিবিআই’র
অপহরণের ৮ দিন পর নোয়াখালীর সেনবাগের বক্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফেনী। বুধবার রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পিবিআই। মো.আবদুল্লাহ নামের ওই ব্যবসায়ী নবীপুর ইউপির গোপালপুর গ্রামের করুণা চৌধুরী বাড়ি প্রকাশ মান্দার বাড়ির ফয়েজ আহমদের ছেলে।
সে একই উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বক্সিরহাট বাজারে ওয়ালটন ডিলার নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসা করত।বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআই ফেনীর এসআই মো. হায়দার আলী আকন্দ জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহকে রুপসা আহমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে এখনো কথা বলতে পারছে না। বিকেলে তার পরিবারের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এসআই আরো বলেন, অপহরণকারীরা তাকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরে দশ লাখ টাকা দিতে বলে।অপহরণকারী তাকে জানিয়ে ছিল তারা তাকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। এর আগে ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল বাহার সেনবাগ থেকে ফেনী যাওয়ার পথে অপহরণের অভিযোগ তুলে এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় একটি জিডি করেন।
এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ব্যবসায়ী অপহরণের সংবাদ প্রচার করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীকে ঘটনার ৮ দিনের মাথায় পিবিআই ফেনী থেকে তাকে উদ্ধার করে। অপহৃত ব্যবসায়ীর ভাগনে আশরাফুল জিডিতে উল্লেখ করেন, ১ এপ্রিল সকালে দোকান থেকে তার মামা ফেনী যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তার ফোন থেকে মামির ফোনে কল আসে। কিন্তু হ্যালো বলার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অপহরণের পর থেকে আবদুল্লাহ মামার ব্যবহৃত দুটি ফোন বন্ধ ছিল।