জেলার খবর

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ভূমিদস্যুদের মাটি ভরাট ইটভাটাতে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ভূমিদস্যুদের মাটি ভরাট ইটভাটাতে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপরিকল্পিত ভাবে ভেকু লাগিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়ার কারনে ধসে পড়েছে কোটি টাকা মূল্যের দশ গ্রামবাসীর চলাচলের সড়কটি। গত মঙ্গলবার রাতে কামতাল-মালিভিটা মাদ্রাসা এলাকার সংযোগ রাস্তাটি ধসে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বন্দর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম তার নিজ ইটভাটার জন্য গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামো সরকারি রাস্তা সংলগ্ন কৃষি জমি হতে প্রায় ৩০ ফুট গভীর ও ৫০০ ফুট প্রশস্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় ও সড়কের উপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলে সড়ক ধসে পড়ে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ জানান। সরকারি অর্থায়নে সড়ক ধসে পড়ার এ খবর পেয়ে বুধবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আসমা সুলতানা নাসরিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতাকে ৩ দিনের সড়ক মেরামত করতে নির্দেশ দেন।

গ্রামবাসী জানান, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল, আড্ডা, শ্যামপুর, রায়েরবাগ, মালিভিটা, দশদোনাসহ ১০ গ্রামবাসী চলাচলের জন্য কামতাল মালিভিটা দাখিল মাদরাসা থেকে জাঙ্গালের বিলের উপর দিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সুন্দরবন পেট্রল পাম্প পর্যন্ত কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের এমপি সেলিম ওমান।

নবনির্মিত সড়কের পাশে গড়ে তোলেন বন্দর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম মালিকাধিন এমবিএম নামে ইটভাটা। এই ভাটার ইট তৈরির জন্য সড়ক সংলগ্ন আশপাশের কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছিল, এরপর এই সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচল করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মাটি কেটে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার পর পাশ্ববর্তী জমিসহ প্রায় ৫শ ফুট সড়ক গভীর গর্তে ধসে পড়ে।

ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, অপরিকল্পি ভাবে জমির মাটি নেওয়ায় গভীর গর্তে পরিনত হওয়ায় নব নির্মিত সড়ক ধসে পড়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইউএনও স্যার এসিল্যান্ড স্যারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে সড়ক মেরামত করে দিতে তাগিত দেন।

এছাড়াও গ্রামবাসী অনেকেই বলেন রক্ষক যদি ভক্ষক হয় কে দিবে তার সাজা। ইউপি চেয়ারম্যান মাষুম এক্ষেত্রে কমজান না তার ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। তারা আরও জানান, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মাসুম কাউকে তোয়াক্কা করে চলেন না, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন হয়তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়না বলে জানান গ্রামবাসীরা৷
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শুক্লা সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে এসিল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দেয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তা নিজ স্বার্থের জন্য কেউ অপব্যবহার করলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button