সাংবাদিক আতিকুর রহমান কে অপহরণের চেষ্টা
সারাদেশে খুন, ধর্ষণ, গাড়ি চুরি, প্রতারনাসহ অসংখ্য মামলা ও জিডির আসামী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক গডফাদার আকরাম হোসেন বাদল চক্রের সব ধরনের অপকর্ম প্রকাশ করায় চলতি মাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান কে খুন ও গুমের উদ্দেশ্যে অপহরণের চেষ্টা করেন গডফাদার আকরামের নেতৃত্বে অপরাধ চক্রটি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহবাগ থানায় জিডি ও লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ আতিকুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫/২/২০২১ ইংরেজি তারিখ ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় তফাজ্জল হোনেস মানিক হলে বিকাল ৩ টার সময় ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় সেমিনার শুরু হয়ে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ হয়। অনুষ্ঠান শেষে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান এর ব্যক্তিগত সহকারী সোহানুর মোবাইল ফোনে তাকে অবগত করেন কিছু অপরাধচক্র আতিকুর রহমান কে অপহরণ করে খুন ও গুমের উদ্দেশ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছে।
খবর পেয়ে সংস্থার উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে যায় আতিকুর রহমান এবং ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়। সেখানে আতিকুর রহমান এর একাধিক মামলা ও জিডির আসামী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক গডফাদার আকরাম চক্রের আনুমানিক ১৫/২০ জন সদস্য দেখতে পায়।
খুন ও গুমের উদ্দেশ্যে তারা আতিকুর রহমান কে উপস্থিত সকলের সামনে থেকে একাধিকবার অপহরণের জন্য চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তা সেলিম সাহেব পুলিশ কে ফোন করেন। পুলিশের সহযোগিতায় আতিকুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এছাড়াও গডফাদার আকরাম চক্রের বিরুদ্ধে করা আতিকুর রহমানের একাধিক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাননাশের হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন ঐ চক্রটি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আতিকুর রহমান ও সংস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সমগ্র বিশ্বে মানব সেবা ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন করাই ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এছাড়াও মাদকমুক্ত ও অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়াও এই সংস্থার লক্ষ ও উদ্দেশ্য। সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান এর নেতৃত্বে গত ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত সারাদেশে অসংখ্য সেবামূলক কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এছাড়াও অসংখ্য ভুক্তভোগীর সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঘটনার পরেরদিন আতিকুর রহমান নিজে শাহবাগ থানার ওসির সাথে দেখা করে লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি সাহেব এস আই মুনসুর কে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এস আই মুনসুর তার তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। শাহবাগ থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও গডফাদার আকরাম চক্রের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আতিকুর রহমান কে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছেন তাই গতকাল আতিকুর রহমান শাহবাগ থানায় জিডি করেন। যাহার নং ১৫৩৩, তারিখ : ২৪/২/২০২১ ইংরেজি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ১নং বিবাদী গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের নেতৃত্বে উপরোক্ত বিবাদীগন সারা দেশে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ফেইসবুক হ্যাকিং থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন যাবৎ। এদের প্রত্যেকে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন। সারা দেশে এদের বিরুদ্ধে অসংখ্য জিডি, অভিযোগ ও মামলা আছে।
এদের সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও নিউজ করায় সাংবাদিক আতিকুর রহমান ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ধ্বংস করা সহ প্রাননাশের হুমকি-দামকি ও খুন গুমের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
ইতোমধ্যে এই চক্রটির বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান নিজে বাদি হয়ে একাধিক মামলা ও জিডি করেছেন,
ঢাকা জজ কোর্টে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
মামলা নং ৫৬/২০২০, তারিখ:১০/২/২০২০ ইংরেজি।
ঢাকা জজ কোর্টে চাঁদাবাজির মামলা। মামলা নং ২১১/২০২০, তারিখ : ১১/৩/২০২০ ইংরেজি।
ঢাকা জজ কোর্টে ১০৭ ও ১১৭ ধারায় মামলা। মামলা নং ১৪/২০২১, তারিখ : ১৮/২/২০২১ ইংরেজি।
এছাড়াও মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী নং ৪৮২, তারিখ : ৬/৭/২০১৯ ইংরেজি,মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি নং ৮৩০, তারিখ : ১৩/৭/২০২০ ইংরেজি।
আমাদের অপরাধ অনুসন্ধান টিমের দীর্ঘ অনুসন্ধানে গডফাদার আকরাম হোসেন বাদল চক্রের সব ধরনের অপকর্মের সত্যতা পেয়েছি। অতি শীঘ্রই সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অসংখ্য ভুক্তভোগী পরিবার।