জেলার খবর

যশোর ২৫০ শয্যা হসপিটালে বনিফেস’র উদ্যোগে ফ্রি ডায়বেটিস পরীক্ষার মেশিন ও স্টিক প্রদান

যশোর প্রতিনিধিঃ

যশোর ২৫০ শয্যা হসপিটালে বনিফেস’র উদ্যোগে ফ্রি ডায়বেটিস পরীক্ষার মেশিন ও স্টিক প্রদান

যশোরে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “বনিফেসের” উদ্যোগে দুস্থ দের জন্য চালু করা হলো ফ্রি ডায়বেটিস পরিক্ষা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্ভোদন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন।

বুধবার দুপুর দুইটার দিকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সভা কক্ষে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্ভোদন করা হয়।প্রেস কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায়।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অফিসার জনাব রুবেল হাওলাদার, ২৫০ শয্যা হসপিটাল সমাজসেবা কার্যালয়, উপস্থিত ছিলেন জেলা হসপিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন খোকন,উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক এবং ছিট কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহা জান কবির শিপলু, উপস্থিত ছিলেন বর্নমালা হাইস্কুলের প্রধান উপদেষ্টা জনাব জাকির হোসেন রাজিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বেজপাড়া বিট পুলিশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যশোরের বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন আবু শাহীন বনিফেস স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের প্রশংসা করে বলেন, সংগঠনের এই উদ্যোগটি খুবই ভালো।কারণ হাসপাতালে এই কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় এখন আর রোগীকে বাহিরে গিয়ে ডায়বেটিস পরিক্ষা করতে হবে না। এরকম আরও কিছু কার্যক্রম খুব শিগ্রই হাসপাতালে চালু করার আশ্বাস দেন এবং বনিফেস স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের সকল কার্যক্রমে পাশে থেকে সহযোগিতা করার আশা বক্ত করেন তিনি।

যশোরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের হাতে ডায়বেটিস মাপার ছয়টি মেশিন ও ২শত কিট তুলে দেন বনিফেস স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বেলাল হোসেন বনি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাওন,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক শ্রাবনী রায় ও সদস্য শাহারুল ইসলাম ফারদিন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বেলাল হোসেন বনি বলেন, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ডায়বেটিস মাপার মেশিন দেয়া হয়েছে।এখান থেকে অসহায় দুস্ত রোগীরা ফ্রিতে ডায়বেটিস পরিক্ষা করতে পারবেন এবং যারা অসহায় নয় তারা ১৫ টাকা দিয়ে একটি কিট কিনে ডায়বেটিস পরিক্ষা করতে পারবেন।
পরে হাসপাতালে আরও কিছু সেবামূলক কার্যক্রম শুরু করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button