জেলার খবর

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ আহত ৩

মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু সহ আহত ৩

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বরমী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বরমী মধ্যপাড়া গ্রামে‌ এমদাদুল হক-এর পরিবার প্রতিপক্ষের হামলার শিকার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়। এ বিষয়ে এমদাদুল হক বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

১। মো: শাহিন (৩০) ২। মো: সুমন (২৮) ৩। সুজন (২৫) সর্ব পিতা- দুলাল মিয়া ৪। মোছা: শামীমা আক্তার (২৩) পিতা- দুলাল মিয়া ৫। সালমা (২৬) স্বামী- মো: শাহিন ৬। ময়না (২৭) স্বামী- সুমন সর্ব সাং- বরমী থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুরগনসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪জন বিবাদীগন এলাকায় খুবই খারাপ, উশৃংখল, নেশা জাতীয় দ্রব্যাদী সেবনসহ ক্রয়-বিক্রয়কারী ও পরধন লোভী প্রকৃতির লোক। ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় এলাকায় চিহ্নিত ইয়াবাহসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত।

১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় প্রতিনিয়তই মাদক ব্যবসা জন্য আমার বসত বাড়ীর উপর দিয়া আসা-যাওয়া করে এবং তাহাদের পরিচিত মাদক ব্যবসায়ীরাও আমার বাড়ীর উপর দিয়া যাতায়ত করে।

উক্ত বিষয়টি সংক্রান্তে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয়কে আমার বসত বাড়ীর উপর দিয়া আসা যাওয়া না করার জন্য একাধিকবার বলিলেও বিবাদীদ্বয় আমার ও আমার স্ত্রী সীমা এর কথা অমান্য করিয়া জোর পূর্বক বসত বাড়ীর উপর দিয়া যাতায়ত করিয়া আসিতেছে এবং প্রতিনিয়তই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন জখমের হুমকি দিয়া আসিতেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯/০২/২০২১ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৩.৩০মিনিটের সময় ১নং বিবাদী আমার বসত বাড়ীর যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী সীমা বিবাদীকে বাধা নিষেধ দিলে ইহাতে ১নং বিবাদী আমার স্ত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন ১নং বিবাদী অন্যান্য সকল বিবাদীদের সংবাদ দিলে বিবাদীগন ধারালো রাম দা, লাঠি, লোহার রড, ইটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার স্ত্রীকে বসত ঘর হইতে ১নং বিবাদী টানিয়া হেচড়াইয়া ঘরের বাহির করে।

তখন ৪নং বিবাদী আমার স্ত্রীর কুলে থাকা নাবালক ছেলে নাঈম (১০ মাস) কে জোর পূর্বক নিয়া বসত বাড়ীর বারান্দায় তোষের বস্তার উপরে ফেলিয়া দিয়া জখম প্রাপ্ত করে। ঐ সময় বিবাদীগন আমার স্ত্রীকে টানা হেচড়া করিয়া বসত বাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বে নিয়া খুন জখমের উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া মারাত্বক নিলাফুলা ব্যথাযুক্ত জখম ও রক্তাক্ত করে।

একপর্যায়ে ৫নং বিবাদী আমার স্ত্রীর নাকে স্বজোরে কামড় দিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে এবং তাহার ব্যবহৃত উড়না দিয়া আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পেচ দিয়া দুই দিক দিয়া স্বজোড়ে টান দিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা একটি ১০ ইঞ্চি ইটা দিয়া মাথায় এলোপাথারী আঘাত করিয়া মারাত্বক ব্যথাযুক্ত ফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে লোহার রড দিয়া আমার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া মারাত্বক ব্যথাযুক্ত জখম করে এবং স্ত্রীর পড়নের কাপড়ে ও চুলের মুঠিতে ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া অর্ধবিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতা হানী করে।

৩নং বিবাদী আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার দুই হাত দিয়া গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। ৬নং বিবাদী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্নের চেইন মুল্য অনুমান ৩৫০০০/- টাকা হইবে তাহা ছিনিয়া নিয়া যায়। তখন আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আমি স্ত্রীকে রক্ষার জন্য আগাইয়া গেলে বিবাদীগন আমাকেও এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথ ও লাঠি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া মারাত্বক ব্যথাযুক্ত জখম করে।

২নং বিবাদী আমার নাবালক নাতী মো: আশিকুর রহমান (৫) কে একটি ইটা দিয়া বাম বার্জায় আঘাত করিয়া জখম প্রাপ্ত করে। তখন আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন আসিতে থাকিলে বিবাদীগন এই বলিয়া হুমকি দেয় যে, আমাকে, আমার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনদের সময় সুযোগমত রাস্তাঘাটে পাইলে মারপিটসহ খুন জখম করিবে, আমাদের বাড়ী ঘরের ক্ষতি সাধন করিবে ও নিজেরা যে কোন প্রকার অঘটন ঘটাইয়া আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।

পরে আমার স্ত্রীর অবস্থা আশংকা জনক দেখিয়া স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় সিএনজি যোগে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার আমার স্ত্রী জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আমাকেও চিকিৎসা প্রদান করেন।

আমি আমার স্ত্রীর নিকট হইতে ঘটনার বিস্তারিত শুনিয়া ও মারপিটের আলামত দেখিয়া বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের অবগত করিয়া ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়। এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার এস,আই শুক্কুর আলী জানান অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার সত্যত তদন্ত অব্যাহত রয়েছে,।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button