নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাংবাদিককে হুমকি
জাতীয় দৈনিক ‘আজকের বসুন্ধরা’ পত্রিকার নোয়াখালী প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সুবর্ণচর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এবং দেশের গণমাধ্যমকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নলেরচর আল-আমিন বাজার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাজহারুল ইসলাম।
বুধবার ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিক দেলোয়ার হুমকির কথোপকথনটি মোবাইলে রেকর্ড করেন।
হুমকির কারণ হিসেবে জানাযায়,সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নলেরচর জনতা বাজার ব্রাঞ্চ থেকে স্থানীয় শাহাজান নামের এক ব্যাক্তি ঋণ নিয়ে তার বসতবাড়ি স্থানীয় যুবলীগ নেতা হাসেম মাঝির নিকট বায়না করে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। শাহাজানের বসতবাড়ি হাসেম মাঝি ক্রয় করবে বলে জানতে পারে সাগরিকা কর্মকর্তারা।
হাসেম মাঝিকে সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা বলে যে শাহাজানের বাড়ির দাবীদার এখন তারা। পরে সমাজের অনেকের উপস্থিতে হাসেম মাঝি বলেন আমার নিকট এখন কোন টাকা নেই,আমি আমার টাকার বিষয়ে বুঝবো। আপনারা তার টাকা যেভাবে পারেন নেন।
সাগরিকা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল বাশার ও মাঠ কর্মী তৌহিদ বাড়ির কাজগপত্র হাসেম মাঝির নামে করে দিতে সহায়তা করবে মর্মে হাসেম মাঝিকে সাগরিকা কর্মকর্তারা ৩ লক্ষ টাকার একটি ঋণ দেন। কিছু দিন ঋণের কিস্তি দেওয়ার পর হাসেম মাঝি জানতে পারে যে, সাগরিকা এনজিও নিকট উক্ত বাড়ির উপযুক্ত কোন কাগজপত্র নেই। বিষয়টি শুনে হাসেম মাঝি সাগরিকার ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
এ নিয়ে ম্যানেজার মাজহার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাসেম মাঝিকে ফোন করে টাকা না দিলে তার মেয়ের বিয়ে অনুষ্ঠানে হামলা করবে বলে হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়টি হাসেম মাঝি সাংবাদিক দেলোয়ারকে জানানোর পর সাংবাদিক দেলোয়ার নিজ ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮১৫-১৯০৫৪৩ থেকে উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে মাজহারের বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল নাম্বার ০১৮৩০-১০১০৪৬ তে ফোন করে তার বক্তব্য জানতে চাইলে সে উল্লেখিত হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য মাজহার এনজিও কর্মীর আড়ালে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সাইফুল ইসলাম সুমনের মুঠো ফোনে (যাহার নাম্বার ০১৮৬৫-০৪১২০২) একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন রিসিভ হয়নি।