গ্রেফতারের পর সিএনএনের তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দিয়েছে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের পুলিশ। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন ওই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, শুক্রবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে বিক্ষোভের কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করছিল সিএনএনের সাংবাদিক। তারা সেখানে অবস্থানরত পুলিশের নির্দেশনা মেনেই সম্প্রচার করছিলেন। কিন্তু হুট করে একে একে সিনএনএনের তিন সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যায় কর্তব্যরত পুলিশ।
তবে সিএনএন জানিয়েছে ইতোমধ্যে আটক হওয়া সিএনএনের করেস্পন্ডেন্ট ওমর জিমনেজ তার সঙ্গে থাকা প্রডিউসার বিল কিরকোস ও ফটোসাংবাদিক লিওনেল মেন্ডেজকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এজন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন রাজ্যের গভর্নর।
পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য এখন উত্তাল। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসের এক পুলিশ কর্মকর্তা জর্জ ফ্লয়েড নামক এক আফ্রিকান আমেরিকানকে নিচে শুইয়ে হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন। এর জেরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
তিনি মৃত্যুর আগে বলতে থোকেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ পথচারীরাও পুলিশকে বলতে থাকেন তাকে চেপে না রাখার জন্য। কিন্তু এই কাতর আর্জি পুলিশ অফিসারের কানে যায়নি।
এই পুলিশি অত্যাচারের ঘটনা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা ফ্লয়েডের নামে শ্লোগান দিচ্ছে এবং বলছে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিনিয়াপলিসের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশেষ বাহিনী মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ বাহিনীরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের মধ্যে মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লুট, অগ্নিসংযোগ, ভাঙ্গচুরের মত ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশকে কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিবিসি, সি এন এন।