কপিলমুনি বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে আবাসন গড়ে তোলায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ; সর্বত্র অ-ব্যাবস্থাপনা।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনি বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে আবাসন গড়ে তোলায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ; সর্বত্র অ-ব্যাবস্থাপনা।
দক্ষিণ খুলনার সর্ববৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র কপিলমুনি বাজার সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ভুমিকা পালন করে আসছে। বাজার কেন্দ্রীক জায়গার সংকুলান এখনো কাটাতে পারিনি সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পৌরসভা গঠনের স্বপ্ন দেখছেন এলাকার মানুষ। অথচ বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে মহা মুল্যবান জায়গায় ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে ঘর ও জমি। যা কিনা বাজারের শ্রীবৃদ্ধি ও ব্যাবসায়ীদের ব্যাবসার ক্ষেত্রে দারুণ এক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সুধিমহল। উপজেলা প্রশাসনের এমন কর্মকান্ড ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
বাজারে একাধিক ব্যাবসায়ী এ প্রতিনিধিকে জানান, মাছ বাজারে জায়গা সংকুলান কাটাতে তারা বাইপাস সড়কজুড়ে মাছ নিয়ে বসতে হচ্ছে। সেক্ষত্রে পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অনেক সময় তাদের মাঝে হট্টগোল করতে দেখা যায়। একইভাবে অনেক ব্যাবসায়ী বাজারে নির্দিষ্ট জায়গা না পেয়ে ভিন্ন জায়গায় বসে ব্যাবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে তরকারি ব্যাবসায়ীরা ধান্য চত্বরে আর ধান্য ব্যাবসায়ীরা প্রধান সড়কে বসে কোন রকম চলতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার প্রশস্ত করন অপরিহার্য। কিন্তু বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে আবাসনের ঘর নির্মান হলে এমন পরিস্থিতি কাটানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সুধীমহল।
জানাগেছে, কপিলমুনি বাজার প্রশস্ত করনে তৎকালীন হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন খাঁ এর তত্বাবধানে বাজারের সিনেমা হলের পার্শ্বে কাঠগোলায় ৮৪ শতক জমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নামে খরিদ করা হয়। আর সেই জমিতে মুলত আবাসন ঘর নির্মান কাজ চলছে। যা অনেক মুল্যবান ও ব্যাবসার জন্য উপযোগী।
এলাকাবাসীর দাবি কপিলমুনি বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যাবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি না করে আবাসন গড়ে তোলা বন্ধ করা হোক। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।