শেখ মুজিব স্বাধীনতা দিয়েছেন শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়েছেন।
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
শেখ মুজিব স্বাধীনতা দিয়েছেন শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, জাতির জনক শেখ মুজিব স্বাধীনতা দিয়েছেন, তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিচ্ছেন উন্নয়ন। শেখ হাসিনার সাহসের তুলনা হয় না। তিনি অত্যন্ত সৎ বিধায় সাহসী ও নির্ভীক। তাঁর সাহসিকতায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এ সেতু নির্মাণের ফলে পৃথিবীর মানুষ আজ অবাক বিষ্ময়ে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের উন্নয়নে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ আব্দুজ জহুর সেতুর পশ্চিম পাশের মাঠে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন হওয়ায় পরিকল্পমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুধী সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর এ দেশে যদি কোনো সাহসী ব্যক্তি থাকেন তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেন এবং তাদের নিয়ে ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, মানুষের উন্নয়ন হয় এমন প্রকল্প নিয়ে আসলে আমি পাস করে দেব।”
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি তাঁর মহান পিতা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো, দেশের মানুষকে ভালবাসেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সাহসেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সাগরের নীচ দিয়ে টানেল হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর পরে আর কোন নেতা এমন বলিষ্ঠ কাজ করতে পারেনি। রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। দেশে মেট্রো রেল হচ্ছে। শুধু তাই নয়। শেখ হাসিনা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি জাতীয় কোন নেতা নয়। আমি জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বও দেইনি। আমি অতি সাধারণ ঘরের একজন সাধারণ মানুষ। আমার এলাকার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে এখানে এসেছি। কিছুদিন আগে আমি করোনা আক্রান্ত ছিলাম। ২২দিন হাসপাতালে থেকে মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ দয়ায় আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। ডাক্তার আমাকে কথা বলতে বারণ করেছে। কিন্তু আপনাদের সামনে কথা না বলে কীভাবে থাকব। আমার এলাকা বলতে ডুংরিয়া বা শান্তিগঞ্জ নয়। আমার এলাকা সুনামগঞ্জের গোটা হাওর এলাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার হাওরবাসির দুঃখ-দুর্দশা দেখেছি। আমি আমার হাওর এলাকার মানে আপনাদের দুঃখ লাঘবে উন্নয়নের জন্য কাজ করি।
সুধী সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজনীতি কিভাবে হয়, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা। সেই রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ আমার নাই। তাই আমি মনোযোগ দেই উন্নয়নের দিকে। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মুল্যায়ন করেন। আমি তাঁর নির্দেশে কাজ করি। আমি চিনি ৪০ বছর ধরে তাঁকে চিনি।
তিনি জানেন আমি কী চাই। আমি জানি তিনি কি চান। শেখ হাসিনা চান দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন। এম এ মান্নান বলেন, আমার বিরদ্ধে অপবাদ তোলা হয়েছে আমি নাকি সব কিছু আমার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে নিয়ে যাচ্ছি। এ অপবাদ ঠিক নয়, আপনারা দেখান সুনামগঞ্জের জন্য অনুমোদন হওয়া কোনো একটি প্রকল্প কেটে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ নিয়ে গেছি। যদি দেখাতে পারেন তওবা করে রাজনীতি ছেড়ে চলে যাবো।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় যারা জড়িতদের খুঁজে এনে আইনের আওতায় আনা হবে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায় খায়রুল হুদা চপল এবং জেলা যুবলীগ নেতা সবুজ কান্তি দাসের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, ইসলামগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাজিনুর আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ।