(গদ্য কবিতা)
পড়োনা কেউ এই লেখা
— মাইন উদ্দিন আহমেদ
খাতা খুলেই রেখেছিলাম
কিন্তু নাজিল হয়নি কিছুই
দুলাইন বা তিন লাইন হয়
অবতীর্ণ মাঝেমাঝে
চেতনার আকাশ থেকে বোধে
এরপর কাগজ-কলম খোঁজাখুঁজি
সংরক্ষণ না করলে যায় হারিয়ে।
বিনিদ্র একটি গোটা রাত পেরিয়ে
সকাল এখন এলো বলে
ঘড়ি বলছে পাঁচটা আটাশ
পুরো সময়টা কি তাহলে নিষ্ফল!
সময়ের ফলপ্রসু হবার প্রক্রিয়া
ক’টাইবা আছে আমাদের জানা?
সম্প্রতি দুএকবার পৃথিবী ঘুরার শব্দ
আমার কানে ধরা পড়েছিলো
সেই থেকে আমি খুবই চিন্তিত
যদি সব গোপন শব্দ চলে আসে
আমার চেতনায় তাহলে তা হবে
খুবই বিপজ্জনক একটি বিষয়
জটিল অসুখের চেয়েও মারাত্মক।
দুশ্চিন্তা রয়েই গেলো
নীরবতার যোগাসনেও হয়নি
বিদূরীত এই নতুন সমস্যাটি।
যেটুকু লিখলাম সেটুকু পড়লাম
ভাবলাম কেন মানুষ পড়বে
আমার এ লেখা যেখানে প্রেম নেই
লটারী জেতার পথসন্ধান নেই
পাঠকের শত্রুকে গালি দেয়া নেই–
কার কি ঠেঁকা এটি পড়তে!
এমন কি সেই ঘটনাটিও নেই
যা বলেছিলো আমার এক বন্ধু,
“বয়স আমার তখন উনিশ
একজনকে লেগেছিলো ভালো
সে-ই লিখেছিলো প্রেমপত্র কিন্তু
তার মা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো
ক’রে সাংঘাতিক অপমান–
বাড়ীতে গিয়ে প্রচন্ড জ্বরে
আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম
একথা বলিনি কাউকে।”
তাই বলি, এ লেখায় নেই
পড়ার মতো কিছুই, পড়োনা,
পড়ে কি লাভ, পড়োনা কেউ,
সময়বিনাশী নিরর্থক লেখালেখি।