দোয়ারায়ারা বাজার একটি ব্রিজের অভাবে দু-ইউনিয়নের মানুষদের দুর্ভোগ চরমে।
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
দোয়ারায়ারা বাজার একটি ব্রিজের অভাবে দু-ইউনিয়নের মানুষদের দুর্ভোগ চরমে।
সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার উপজেলার নাছিম পুর বাজার সংলগ্ন চেলানদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। যুগ-যুগ ধরে একটি ব্রিজের কারনে এই এলাকার মানুষদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত রয়েছে নাসিমপুর বাজার সহ এই এলাকায়।
নাসিম পুর বাজার পেরুলেই বিশাল বালুমহাল,পাথর কোয়ারী,বিজিবি ক্যাম্প ও চুনাপাথর আমদানির বিশাল অঞ্চল ইছামতি বাজার। কিন্তু একটি ব্রিজের অভাবে এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন ঘটছে। সারা বছরই তারা নৌকাযোগে যাতায়াত করছেন। হেমন্তে বাশের সাকোর উপর ভরসা করেন এই অঞ্চলের লোকজন। হেমন্তে এলাকার লোকজন চেলা নদীতে বাশের সাকো নির্মান করলে এই সাকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে হালকা যানবাহন চলাচলের একটু সুবিধা হয়।
ছাতক ও দোয়ারাবাজার এলাকার কৃষি নির্ভর এ এলাকায় ব্যাপক হারে সবজির চাষ ও হয়ে থাকে। কৃষকরা ব্রিজের কারনে তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। চেলা নদীতে ব্রিজটি না হওয়ায় এলাকার রহমতপুর, নাসিমপুর,নাসিমপুর বাজার,সোনাপুর, মন্তাজ নগর,রহিমের পাড়া আলমপুর, সৈদাবাদ গ্রামসহ এই অঞ্চলের প্রায় ৩০ টি গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
রহমতপুর গ্রামের সাইফুল আলম সোহাগ, রহিমের পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী, আলমপুর গ্রামের সালমান হোসাইন, কাজিরগাও গ্রামের সাহিদ আলী,সৈদাবাদ গ্রামের আব্দুর রহমান, নাসিম পুর গ্রামের আল-আমীন ও সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, চেলা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার উন্নয়ন সাধিত হবে। যাতায়াত সহ কৃষি, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ব্যবসা -বানিজ্যের ও প্রসার ঘটবে। তারা জনদুর্ভোগ লাঘবে চেলা নদীতে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন। নরসিংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন জানিয়েছেন, নাসিম পুর বাজার সংলগ্ন চেল নদীতে ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত আছে।