বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে মনিরামপুর পৌর আওয়ামী লীগের সা: সম্পাদক কামরুলের বিশাল শোডাউন।
আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রতিনিধি-(যশোর)
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে মনিরামপুর পৌর আওয়ামী লীগের সা: সম্পাদক কামরুলের বিশাল শোডাউন।
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে মিছিল এবং আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামীলীগের ষঠউড মনোনয়ন প্রত্যাশি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান কামরুলের পক্ষে বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মণিরামপুর পৌরবাসির আয়োজনে সোমবার বিকেলে ব্যান্ডপার্টির বাদ্য যন্ত্রের তালে-তালে পৌর এলাকার প্রায় সহ একাদিক নারী-পুরুষ মিছিল সহকারে নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শ্লোগান ও মূর্হুমূহ করতালির মাধ্যমে কামরুলের মনোনয়নের দাবীতে পৌর শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। মিছিল শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের ষঠউড কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন আওয়ার্মীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরুল, পৌর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম, ৯নং-ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, আওয়ামীলীগনেতা কাজী শাহাবুদ্দীন, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দেলু, পৌর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।
এ সময়ে বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামনের ভাস্কর্য যারা ভাংচুর করেছে তাদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রæত বিচার দাবী করেন। সাথে-সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার জৈষ্ঠ্য পুত্র রাজপথের লড়াকু সৈনিক, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে সমাধিক পরিচিত, এলাকার জনগণের অনুপ্রেরণায় এবার পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে কামরুজ্জামান কামরুলের মনোনয়ন দাবী করেন।
প্রয়াত বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখা ও এলাকার জনগণের অনুপ্রেরণায় এবার পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার মনোভাব প্রকাশ করেছেন তিনি।
আওয়ামীলীগের দুর্দিনে তাঁর মরহুম পিতা গোলাম মোস্তফা মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীকে শক্তি ও সাহস দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করে শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন সময়ে তাঁর বাবা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েও দলীয় কার্যক্রম নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে সফলভাবে পালনে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রামাণ দেন। উপজেলায় তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও আওয়ামী লীগের আশ্রায় হিসেবে সু-পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারই যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে এলাকায় কামরুলের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
পৌর এলাকার মানুষের অফুরন্ত ভালবাসা, নির্ভরতা ও আস্থার প্রতীক সৎ, বিচক্ষণ, দক্ষ, ও সময়ের সাহসী নেতা কামরুল। তিনি নির্বাচনে আসার কথা শুনে এলাকার সর্বমহলে যেন আনন্দের বন্যা বয়ে চলেছে। আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন অবহেলিত হতদরিদ্র মানুষসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন। একজন সৎ ও যোগ্য নেতা হিসেবে তার পক্ষের কর্মী সমর্থকদের দাবী মণিরামপুর পৌর মেয়র পদে দলীয় তাদের দাবী তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
উল্ল্খ্যে, পৌর এলাকায় কামরুলের জনপ্রিয়তা ঈর্সনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র অবস্থায় পারিবারিক সূত্র এবং হাত ধরে তার রাজনীতির হাতেখড়ি। পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি এই পদে থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দলীয় সকল কার্যক্রম সফলভাবে পালন করে আসছেন। পাশাপাশি পৌর সভার ০৭নং-(মোহনপুর) ওয়ার্ড থেকে বারবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে জনগণের ক্ষেতমত করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সময়ে জনপ্রতিনিধিত্ব ও রাজনীতির অবিজ্ঞতা সম্পন্ন এ নেতা জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মরহুম পিতা দীর্ঘদিন ধরে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার পিতার মত আমিও দলের দুর্দিনে রাজপথে থেকে দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে একাগ্রচিত্তে কাজ করে চলেছি। দলের জন্য আমাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ আছে। এদিক বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দলের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।