কলম সৈনিকেরা কখন মামলা হামলা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন।
মোঃ সাহাদাৎ হোসেন শাহিন, ভূঁইয়াঃ
কলম সৈনিকেরা কখন মামলা হামলা হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক বলে বিবেচিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বসহকারে সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম, অসংগতি কলমের ডগায় তুলে আনেন তারা। বস্তুনিষ্ঠতা ও সততার সঙ্গে পৌঁছে দেন সাধারণ মানুষের কাছে। বর্তমান বিশ্ব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নখদর্পণে। তাই মুহূর্তের মধ্যে সংবাদ চলে আসে জনসাধারণের দোরগোড়ায়।
আর এসব সংবাদ পৌঁছে দিতে প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাদের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম, দায়িত্ব ও আন্তরিক সেবা বিনিয়োগ করেন। এসব তথ্য ও অসংগতি তুলে ধরে যেমন দেশের নাগরিকদের তাদের ন্যায্য অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করে তোলেন, তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদেরও বাধ্য করেন সঠিক পথ অনুসরণ করে সঠিক কাজটি করতে।
এর ফলে অনেক সাংবাদিকই হয়ে ওঠেন অশুভ চক্রের চক্ষুশূল। সংবাদ সংগ্রহ ও উপস্থাপনকারীর জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন। তবু প্রাণের ঝুঁকি জেনেও কখনো তারা থেমে থাকেন না দায়িত্ব পালনে। যে কোনো প্রতিকুল পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে সত্যের সন্ধানে ছুটে চলেন দেশ-বিদেশের এক প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত।
যুদ্ধ, অগ্নিকাণ্ড, যে কোনো দুর্যোগে-দুর্বিপাক, ঝড়-তুফান কিংবা মাদক বা সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানায় ভয়াবহ বিপদ মাথায় নিয়ে ঢুকে পড়েন। একজন সৎ সাংবাদিক বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন অন্তরালের অনেক অজানা তথ্য। উদঘাটন করে নিয়ে আসেন ঘটনার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা গূঢ় রহস্য। কিন্তু এর কোনোটাই একেবারে সহজসাধ্য কোনো কাজ নয়। এসব কাজে যেমন আছে সম্মান, তেমনি আছে মারাত্মক ঝুঁকিও।
আমাদের দেশের সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত দেড় দশকে ২ জন সাংবাদিক হত্যারও ৪৭৯বিচার না হওয়ায় রাষ্ট্রের অমার্জনীয় ব্যর্থতা। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, তত্ত্বাবধায়ক কোনো সরকারই এ ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। আমরা সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড এবং নির্যাতনের সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই।