জেলার খবর

সেনবাগে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে বাগানে আসামীর মৃত্যু।

মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

সেনবাগে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে বাগানে আসামীর মৃত্যু।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালাতে গিয়ে মোঃ কবির (৫০) নামের এক ওয়ারেন্টের আসামি মৃত্যু হয়েছে।

নিহত কবির ওই গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড চৌকিদার বাড়ির মৃত মোকলেসুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে একটি মারামারির মামলা ছিল।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সেনবাগ থানার এসআই মোঃ আল আমিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করতে বসন্তপুর বাজারে গিয়ে কবিরের চায়ের দোকানের সামনে সিএনজি দাঁড় করিয়ে কবিরকে তার নাম জিজ্ঞাসা করে।

এ সময় কবির নিজেকে মাইন উদ্দিন বলে জানান।তবে পুলিশের সন্দেহ হলে তারা বাজারের নাইটগার্ড (চৌকিদার) আবদুল জলিলকে জিজ্ঞাসা করলে সে কবিরকে মাইন উদ্দিন হিসাবে সনাক্ত করে। পরে কবির (মাইন উদ্দিন নামধারী) বাজারের পার্শ্বের কবিরের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়ে সে দ্রুত পার্শ্ববর্তী আবদুল ওহাবের বাড়ির সুপারী বাগানে পালিয়ে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

সোমবার সকালে ওই বাড়ির ছেলেরা বাগারে সুপারী পাড়তে গিয়ে কবিরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে ঘটনা জানাজানি হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী সেনবাগ থানার এসআই মোঃ আল আমিন জানায়, সোমবার রাতে মারামারির মামলায় ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে কবিরকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যান।তবে ওই সময় সে বাড়িতে না থাকায় পুলিশ তাকে কোর্টে আত্মসমার্পণ করার জন্য স্ত্রীসহ পরিবারের নিকট বলে চলে আসে।

পরে সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে তার মৃতদেহ স্থানীয় বসন্তপুর গ্রামের আবদুল ওহাবের সুপারী বাগানে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী সেনবাগ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিহত কবিরের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান,কবির কয়েক বার স্ট্রোক করেছিল।গতকালও হয়তো স্ট্রোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, কবিরের মৃতদেহ পাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেনবাগ থানার এসআই গৌর সাহা ও এসআই নুর হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের ময়নাতদন্তর জন্য উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।কিন্তু পারিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত করাতে অপারগতা প্রকাশ করায় এবং কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button