কপিলমুনিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সচিব তপন ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সচিব তপন ঘোষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশব্যাপী সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কপিলমুনি ছিল দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম রাজাকার ঘাটি। এখানে রাজাকারদের পতনের মধ্যদিয়ে শত্রুমুক্ত করেন বীর মুক্তিযুদ্ধারা।
আর সে কারণে ১৯৭১ সালে কপিলমুনি অঞ্চলজুড়ে রয়েছে ঐতিহাসিক স্মৃতি সমুহ। যার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ও এখানকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তিনি মুক্তি যোদ্ধাদের কল্যানে কাজ করছেন। মুজিব বর্ষে একটি পরিবার গৃহহীন থাকবে না।
তিনি রবিবার বিকালে খুলনার কপিলমুনিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
কপিলমুনি মুক্তিযোদ্ধা অফিস সংলগ্ন কাঁচা বাজার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আরাফাতুল আলম, পাইকগাছা থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ আশরাফুল ইসলাম, খুলনা বিএল কলেজের প্রফেসর মোঃ হারুনার রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ কবির হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সভাপতি এড. শেখ তৈয়ব হোসেন নুর, কপিলমুনি বনিক সমিতির সভাপতি এম বুলবুল আহমেদ।
উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সন্তান কমান্ড সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও কপিলমুনি বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ আফসার আলী, মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা আক্তার শম্পা, বীর মুক্তিযুদ্ধা রনজিৎ রায়,আব্দুল লতিফ, আনোয়ার হোসেন, সরদার ফারুক আহমেদ, শেখ জামাল হোসেন, শেখ আব্দুল ওদুদ, সৈয়দ সালাম উল্লাহ, শেখ টুকু মাষ্টার, শেখ আব্দুল গফুর,
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম মোস্তাফিজ বাচ্চু সহ আরো অনেকে।