ক্ষোভ প্রকাশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি ও সেক্রেটারীর উপর।
বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব।
তাদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বহু আগেই। এবার তার প্রমাণ মিলছে। সম্প্রতি তারাব পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। সেই কমিটিতে অপরিচিত বিবাহিত কাজী রাজনকে আহবায়ক করা হয়েছে।
যা মেনে নিতে পারে নাই রূপগঞ্জ উপজেলা ও তারাব পৌর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরে তারাব পৌর ছাত্রদল ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি ও সেক্রেটারীর উপর। তারা দাবি করেন সাড়ে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে,বিবাহিত কাজী রাজন কে,তারাব পৌরসভা ছাত্রদলের আহবায়ক বানানোর কন্টাক নেয় আরমান মোল্লা।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব তাদের নির্দেশ মতো প্রকৃত ছাত্রদল কর্মীদের বঞ্চিত করে বিবাহিতদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। কাজী রাজনের চাচা জাভেদ কাজী তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের দাবির কাছে হেরে গেছেন রনি-সজীব।
দৈনিক পত্রিকা গুলোতে প্রকাশ হওয়ার পর সমালোচনার মুখে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব তারাব পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক কাজী রাজনকে বুধবার (৪ নভেম্বর) অব্যাহতি দিয়েছে।
যুগ্ম আহবায়ক মুজহারুল ইসলাম রাজীবকে আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল ছাত্রদল কমীরা প্রশ্ন তুলেছে আহবায়ক কমিটি দেওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল কি করেছে? তারা কি পদ প্রত্যাশীদের সিভি বাছাই করে নাই? নাকি কোনো নেতার নিদেশে তারা টাকা খেয়ে কমিটি দিয়েছে ।এদিকে কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিবও বিবাহিত বলে দাবি করেছে তৃণমূল ছাত্রদল।