আরো...

পুলিশের নির্দেশনা সড়কে ৫ টনের উপরে গাড়ী চলবেনা।

এ কে আজাদ, খুলনার পাইকগাছা প্রতিনিধি-ঃ

সড়কে ৫ টনের উপরে গাড়ী চলবেনা!

পুলিশের নির্দেশনা সড়কে ৫ টনের উপরে গাড়ী চলবেনা

তরমুজ লোড-আনলোডে জুলুম ও চাঁদা তোলা যাবে না – ওসি এজাজ শফী

খুলনার পাইকগাছার দেলুটিতে লবনপানি মুক্ত ২২ নম্বর পোল্ডারের উৎপাদিত কোটি-কোটি টাকার তরমুজ নিয়ে মহা বিপদে কৃষক ও ব্যসায়ীরা। একদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে নীচু ক্ষেতে পানি জমে মাঠের পর মাঠের তরমুজ ও ক্ষেত নষ্ট হয়েছে, অন্যদিকে পরিবহনের ক্ষেত্রে দু’উপজেলা সীমান্তের বটিয়াঘাটার রায়পুর খেয়াঘাটে তরমুজ লোড-আনলোড নিয়ে জুলুম ও চাঁদা আদায় সহ নানা হয়রানীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরমুজ সহবরাহে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে তরমুজ লোড-আনলোড নিয়ে চাঁদা দাবী, ক্যাম্প আইসি’র ভুমিকা ও দু’ উপজেলা সীমান্তের লোডিং সেন্টারের বিবাদমান শ্রমিকদের মধ্যে পুলিশের সমঝোতা বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় পাইকগাছার ফুলবাড়ী বাজারে অনুষ্ঠিয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা থানার ওসি মোঃ এজাজ শফী, ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ আশরাফুল আলম, স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, দেলুটি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যন নির্মল মন্ডল, এসআই অনিশ মন্ডল, জাহিদ হোসেন, মুনতাসির মাহমুদ, বটিয়াঘাটা সুরখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি লিটু শেখ সহ ইউপি সদস্য চাষী ও ব্যবসায়ী সহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

বৈঠকে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য সুপদ রায়, বিশ্বজৎ রায়, রনধীর মন্ডল, সুকুমার কবিরাজ ও হ্যান্ডলিং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কার্তিক ও সম্পাদক অমর টিকাদার অভিযোগ করেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বটিয়াঘাটা সীমানায় রায়পুর খেয়াঘাটে গাড়ীতে তরমুজ লোড-আনলোড নিয়ে জুলম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম চাঁদা আদায় সহ নানা ভাবে হয়রানী হতে হয়। সর্বশেষ বিষয়টি জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, খুলনা-৬’র এমপি আকতারুজ্জামান বাবু, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ পর্যন্ত গড়ালে সোমবার পুলিশ দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছান। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ওসি মোঃ এজাজ শফী সরকারী নির্দেশনার কথা বলে জানান,খুলনা জিরোপয়েন্ট (শাচিবুনিয়া) পুলিশের চেক পোষ্ট বসানো হবে।

গ্রামীন জনপদে ছোট-ছোট রাস্তায় ২০/ ২২ টনের গাড়ী আসবে না। ৫ টনের উপরে গাড়ী আসবে না। উন্নয়নের নামে পথে-ঘাটে চাঁদা আদায় করা যাবে না। দু’ উপজেলা সীমানার লোডিং সেন্টারে স্ব-স্ব এলাকার শ্রমিকরা মাল লোড-আনলোড করবে। এতে কেউ বাঁধা দিলে বা পেশি শক্তি দেখালে তার জন্য দ্রুত বিচার আইনের মামলা অপেক্ষা করছে। এ সম্পর্কে চাষী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলেন, এ সিদ্ধান্তে তরমুজ পরিবহনে খরচ বাড়লেও পুলিশের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button