কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বের এক নম্বর বিমানসংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ।
মোজাম্মেল হায়দার (রিয়াদ) কাতার থেকে-ঃ
কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বের এক নম্বর বিমানসংস্থা কাতার এয়ারওয়েজ।
এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বের এক নম্বর এয়ারলাইন্স কাতার এয়ারওয়েজও ৷ করোনার জেরে বিশ্বজুড়েই অত্যন্ত খারাপ অবস্থা বিমান শিল্পের ৷ প্রায় দু’মাস হতে চলল বিশ্বজুড়ে লকডাউনের জেরে ব্যবসা একেবারেই তলানিতে অধিকাংশ বিমানসংস্থাগুলি ৷ লকডাউনের সময়ে নগদের সংস্থান ঠিক রাখতে এখন হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিমানসংস্থাগুলি ৷ ইতিমধ্যেই ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া, এয়ার মরিশাসের মতো অনেক বিমানসংস্থাই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে ৷ কর্মীদের চাকরির উপরও যে কোপ পড়তে চলেছে, তা আন্দাজ আগেই করা গিয়েছিল ৷ এবার সেই পথেই হাঁটছে কাতার এয়ারওয়েজ ৷ সংস্থার এই মুহূর্তে মোট কর্মী সংখ্যা ৪৬,৬৮৪ জন ৷
কর্মীদের ই-মেল করে কঠিন সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে এয়ারলাইন্সের সিইও আকবর আল বেকারের তরফে ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বেই বিমান শিল্পের অবস্থা এখন খুব খারাপ ৷ অনেক এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ অনেক বিমানসংস্থা তাদের অপারেশন বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ করতে চলেছে ৷ অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটের ৷ অনেক দেশেই বিমান চলাচল এখনও শুরুই হয়নি ৷ ফলে আমাদের পক্ষেও সব জায়গায় বিমান চালানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ প্রচুর বিমান এখন বসে গিয়েছে ৷ এখনই কোনও ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতের জন্য তা আরও খারাপ হবে ৷
তবে একইসঙ্গে কর্মীদের জন্য আশার খবরও জানিয়েছেন কাতার এয়ারওয়েজের সিইও ৷ সেটা হল, বিশ্বজুড়ে অবস্থার উন্নতি হলে চাকরি হারানো কর্মীদের ফের সংস্থায় চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করবে কাতার এয়ারওয়েজ ৷ যে সমস্ত কর্মীদের চাকরি যাবে, তাদের সমস্ত বকেয়া টাকা এবং ওভারটাইমের টাকা বেতনের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হবে ৷ এমনকী, লকডাউনের জন্য চাকরি হারানো কোনও বিমানকর্মী যদি নিজের দেশে ফিরে যেতে না পারেন, তাহলে উড়ান চালু না হওয়া পর্যন্ত তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷