শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
যশোরের কেশবপুরে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচপীর দরগা মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নিকট বিকালে একই মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রীসহ ৫/৬জন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তো। গত ১৫ আগস্ট শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এরমধ্যে ৫ ছাত্রীকে ওই দিন তার ওখানে আসতে নিষেধ করে। পড়ার রুমে আর কাউকে না দেখে ভিকটিম রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে। এসময় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ওই ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে, ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার শরীরের গোপন অঙ্গে হাত দেয়াসহ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার আত্মচিৎকার শুনে আশেপাশের লোক ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তিতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনাটি সে তার পিতা-মাতাকে জানায়। ছাত্রীর পিতা গত ২০ আগস্ট সকালে একই গ্রামের ওই মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ওলিয়ার রহমান ও মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এখানে বিচার না পেয়ে অবশেষে মেয়েটির পিতা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেশবপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকটও একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
রামচন্দ্রপুর পাঁচপীর দরগা মহিলা দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ওলিয়ার রহমান বলেন, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, শ্লীলতাহানি ও ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।