করোনার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অর্থরিটি (এমআরএ)। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় কিস্তি দিতে চাইলে টাকা নিতে কোনো বাধা থাকবে না।
এই সময় পর্যন্ত কোনো ঋণ শ্রেণীকরণ/বকেয়া/খেলাপি দেখানো যাবে না। কোনো ঋণের শ্রেণী-মান উন্নতি হলে সেটা বিদ্যমান নিয়ামানুযায়ী তা শ্রেণীকরণ করা যাবে। সংকটকালীন সময়ে মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট কর্তৃক ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত এবং নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে শিল্প, সেবা ও ব্যবসাখাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এসব বিষয় বিচেনায় এবং ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ কার্ডক্রম পরিচালনা ও ঋণ শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলা নিউজ ২৪.কম।