প্যাগাসাসের খপ্পরে দুই প্রিন্সেস
ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে আড়ি পাতার ঘটনায় তোলপাড়া গোটা বিশ্ব। সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, এমনকি কোনো দেশের ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে। মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। এবার পেগাসারের তালিকায় দুবাইয়ের দুই রাজকন্যার তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলেন-দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাখতুমের কন্যা লতিফা এবং তার সাবেক স্ত্রী ও জর্ডানের প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসাইন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তারা দুইজন যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন সেটা রয়েছে পেগাসাসেস তালিকায়। তবে তারা কি সরকারি কোনো সংস্থার টার্গেটে ছিলেন কিনা সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
লতিফা এবং হায়া বিনতে আল-হুসাইন তারা দুজনই নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ তুলে দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পালানোর সময় প্রিন্সেস লতিফা ধরে পড়লে আলোচনার জন্ম দেয় বিশ্বজুড়ে।
সেসময় তার ঘণিষ্ঠজনদের সঙ্গে ফোনে গোপনে যে আলোচনা হয় তাতে কেউ নজরদারি চালাতে পারে, এমন খবর প্রকাশ করেছে বিবিসিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পাতার জন্য টার্গেট করা হয়েছে ফাঁস হওয়া এমন ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তালিকায় লতিফার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের নম্বর থাকার কথা জানা গেছে। সেসময় প্রিন্সেসের ফোনে নজরদারি হতে পারে। এ ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছে আন্তর্জাতিক মানাবাধিকার সংস্থা- অ্যামনেস্টি। সংস্থাটির মতে পেগাসাস মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এসকল কর্মকাণ্ডের নাগাল টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনএসও। তাদের দাবি অবশ্য ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপ (পেগাসারের মালিক) এসকল নম্বর নিয়ে কোনো অন্যায় কিংবা অপতৎপরতা চালায়নি।