টিপু হত্যা : মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ
রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চাইবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ১৩ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে মুসার মুখোমুখি করবে ডিবি পুলিশ।
আজ শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, মুসাকে আজ আদালতে উপস্থাপন করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। এই মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ১৩ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে মুসার মুখোমুখি করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার তাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ওমানে মুসা আটক হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সমঝোতায় তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুসাকে আনতে ওমানে যান ডিবির তিন কর্মকর্তা। বুধবার গভীর রাতে মুসাকে নিয়ে ওমান থেকে রওনা হন তারা। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়িতে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু। এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী প্রীতি।
এ ঘটনার পরের দিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
মামলার পর ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ২৮ মার্চ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।
আলোচিত এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শ্যুটার মাসুমের জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনায় মুসার নাম আসে।
ডিবি জানায়, মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য।
ডিবি ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ টিপুকে হত্যা করতে রিজভী হাসান হত্যা মামলার আসামিদের ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনার তিন-চার মাস আগে টিপু হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।