গরমে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজারের গুরুত্ব!
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বৈশ্বিক আবহাওয়ার প্রভাবে ঋতু পরিক্রমা এখন গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শীতেই আবদ্ধ। গ্রীষ্মঋতুর সময়সীমা বেশি, এবং গরমের সময় ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। অতিরিক্ত গরম ত্বকে নিয়ে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু পরিবর্তন। গরম তার অস্তিত্ব ত্বকে জানান দেয় অতিরিক্ত তেল, ব্রণের রুপে। এই ঋতুতে ত্বক হয়ে উঠে তৈলাক্ত এবং হারাতে শুরু করে তার লাবণ্য। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা, অতিরিক্ত ব্রন, পরস বড় হয়ে যাওয়া এবং ব্ল্যাক হেডস এড়াতে গরমের শুরু থেকেই সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী।
কেন ময়েশ্চারাইজার জরুরী?
গ্রীস্ম- বর্ষা – শীত সব ঋতুতেই সকল ধরনের ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। গরমের সময় অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করার জন্য আমরা ফেস-ওয়াশ ব্যবহার করি, যা ত্বক কে কিছুটা শুষ্ক করে তোলে এবং প্রয়োজনীয় তেল কে সরিয়ে ফেলে। ফেস-ওয়াশ বা সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের এই শুষ্কতা দূর করার জন্য প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বককে সতেজ করে তুলবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে এবং ত্বককে করে তোলে প্রাণবন্ত।
কিভাবে ময়েশ্চারাইজার কাজ করে?
ময়েশ্চারাইজারের অন্যতম উপাদান হলো “হিউমেক্ট্যান্ট” যা আমাদের ত্বকের উপরের স্তরে পানির সরবারহ নিশ্চিত করে। মূলত এটি ডার্মিস (ত্বকের দ্বিতীয় স্তর) থেকে এপিডার্মিসে (ত্বকের উপরের স্তর) পানি টেনে এনে ত্বক রাখে হাইড্রেটেড। এছাড়াও ময়েশ্চারাইজারে রয়েছে “ইমোলিয়েন্টস” যা ত্বকের উপরিভাগে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে যা ত্বকের প্রয়োজনীয় আদ্রতা হারিয়ে যাওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
কোন ধরনের ত্বকে কেমন ময়েশ্চারাইজার?
অনেক ক্ষেত্রেই ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার নিয়ে আমাদের মাঝে একটি ভুল ধারণা কাজ করে। শুষ্ক ত্বকে গ্রীষ্মে এবং তৈলাক্ত ত্বকে শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। উভয় ধরনের ত্বকেই গরম কালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাজারে জেল-বেস্ড এবং অয়েল- বেস্ড ২ ধরনের ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বকে জেল-বেস্ড এবং শুষ্ক ত্বকে অয়েল- বেস্ড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। তাই ত্বকের ধরণ আর প্রয়োজনীয়তা বুঝে সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করতে হবে।
কিভাবে আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করবেন?
বাংলাদেশের প্রসাধনী বাজার গরম বা শীত, বেশিরভাগ মৌসুমে ছেয়ে যায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে। যার বেশিরভাগ উপাদান তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ক্ষতিকর ও মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতি। এছাড়া বিদেশী ময়েশ্চারাইজার অনেক সময় আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং ত্বকের জন্য মানানসই হয় না।
বাংলাদেশের আবহাওয়া এবং ত্বকের প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করে উন্নত ও মানসম্মত উপাদান ও উৎপাদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পার্পেল কেয়ার লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে ২টি ময়েশ্চারাইজার – ফ্রেয়াস গ্লো বুস্ট অয়েল কন্ট্রোল ময়েশ্চারাইজার (তৈলাক্ত এবং মিশ্র ত্বক) এবং ফ্রেয়াস গ্লো- বুস্ট ভিটামিন-ই ময়েশ্চারাইজার (সেনসিটিভ এবং শুষ্ক ত্বক)। এই ময়েশ্চারাইজার দুইটি বেশ লাইট ওয়েট হওয়ায় গরমের মৌসুমে ত্বককে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি ত্বকে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চার ও হাইড্রেশন প্রদান করে।