আরো...

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণু সূর্যের মতাে উজ্জ্বল এবং শ্রীকৃষ্ণনামে পরিচিত

রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীবিষ্ণু সূর্যের মতাে উজ্জ্বল এবং শ্রীকৃষ্ণনামে পরিচিত

যখন তিনি চিদাকাশে প্রত্যাবর্তন করলেন, কলি তখন এ জগতে প্রবেশ করল এবং তখন থেকে জনগণ পাপকর্মে আনন্দ লাভ করতে শুরু করল।
শ্লোক (২৯)

যতদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীপতি শ্রীকৃষ্ণ তার চরণকমল দিয়ে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত কলি এই গ্রহকে পরাভূত করতে অক্ষম হয়েছিল।

তাৎপর্য-

যদিও এই পৃথিবীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপস্থিতির সময়েও দুর্যোধন এবং তার মিত্রপক্ষের পাপপূর্ণ কর্মের মধ্য দিয়ে কলি কিঞ্চিৎ মাত্রায় এই পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিল, তবুও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অটলভাবে কলির প্রভাবকে রাহত করেছিলেন।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই ধরাধাম ত্যাগ না করা পর্যন্ত কলি বিকশিত হতে পারেনি।
শ্লোক (৩০)

মহারাজ শান্তনুর ভাই দেবাপি এবং ইক্ষাকুবংশজাত মরু—তারা দুজনেই মহা যােগবলে বলীয়ান এবং এমনকি এখনও তারা কলাপগ্রামে বাস করছেন
শ্লোক (৩৬)

কলিযুগের শেষভাগে এই দুজন রাজা প্রত্যক্ষভাবে পরমেশ্বর ভগবান বাসুদেবের দ্বারা উপদিষ্ট হয়ে মানব সমাজে ফিরে আসবেন এবং পূর্ববং বর্ণাশ্রম সমন্বিত সনাতন ধর্ম পুন প্রবর্তন করবেন।
শ্লোক (৩৮)

যদিও এখন কোন ব্যক্তির উপাধি রাজা হতে পারে, পরিণামে এর নাম হবে ‘ক্রিমি’, ‘মল’ বা ‘ভস্ম’। যিনি তার দেহের জন্য অন্য জীবকে আঘাত করেন,তিনি তার স্বার্থ সম্পর্কে কী জানতে পারেন? কারণ তার কর্মসমূহ তাকে শুধু নরকের অভিমুখেই ধাবিত করছে।
শ্লোক (৪২)

হে মহারাজ পরীক্ষিৎ, যে সমস্ত রাজারা তাদের শক্তির দ্বারা এই পৃথিবীকে ভােগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কালের প্রভাবে তারা শুধু ইতিহাসের কথা মাত্রই হয়ে রইলেন।

তাৎপর্য

এই শ্লোকে ‘রাজন’ কথাটি তাৎপর্যপূর্ণ। পরীক্ষিৎ মহারাজ দেহত্যাগের জন্য এবং ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার অতি করুণাময় গুরুদেব শ্রীল শুকদেব গােস্বামী রাজপদের মতাে পদও যে চরমে কত তুচ্ছ তা দেখিয়ে ঐ পদের প্রতি তার সম্ভাব্য সমস্ত আসক্তিকে একেবারে ধ্বংস করে দিলেন।গুরুদেবের অহৈতুকী কৃপার ফলে মানুষ ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হয়।গুরুদেব মানুষকে জড় মায়ার প্রতি তাদের দৃঢ় বন্ধনকে শিথিল করে মায়ার রাজ্যকে পেছনে ফেলে যাওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। যদিও জড় জগতের তথাকথিত মহিমা সম্পর্কে শ্রীল শুকদেব গােস্বামী এই অধ্যায়ে খুব সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন,কিন্তু তিনি এখানে গুরুদেবের অহৈতুকী করুণা প্রদর্শন করছেন, যিনি তার শরণাগত শিষ্যকে ভগবদ্ধাম তথা বৈকুণ্ঠে নিয়ে যান।
শ্লোক (৪৪)

এছাড়াও শাস্ত্রে আরো অনেক লক্ষণসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে।বাকি লক্ষণগুলো দ্বিতীয় পর্বে পাবেন।

(আপনি আপনার বিবেক বুদ্ধির দ্বারা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।)সংগৃহিত-

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button