বাঁশখালীতে চোরাই গরু উদ্ধার হলেও পুলিশ আটক করতে পারেনি গরুচোরকে।
এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি-ঃ
বাঁশখালীতে চোরাই গরু উদ্ধার হলেও পুলিশ আটক করতে পারেনি গরুচোরকে।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে গরু চুরির হিড়িক। বাঁশখালী রামদাশ মুন্সির হাঁট তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ‘কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রাম এলাকায় বাহারছড়া মধ্যম ইলশা গ্রাম থেকে চুরি হওয়া ৩টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখনো পর্যন্ত আটক করতে পারেনি গরু চোরকে। তবে চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’৮ জুন, সোমবারদুপুর ২টায় উদ্ধারকৃত গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং আটককৃত ২ সন্দেভাজন আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে।বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার জানান, সোমবার দুপুর ২টায় উদ্ধারকৃত গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং আটককৃত দুই আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে।’জানা যায়, বাহারছড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম ইলশা গ্রামে ম্ইন আলী চৌধুরী বাড়ীর গৃহকর্তা মাহবুব আলম চৌধুরীর গৃহপালিত প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু গত ৬ জুন শনিবার গভীর রাতে চুরি হয়। এ নিয়ে গৃহকর্তা রবিবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়ায় পাড়ায় ও প্রধান সড়কে মাইকিং করেন। গরুর মালিকের কাছে গোপনে রাত ১১টার দিকে খবর আসে পালেগ্রামে ৩টি চোরাই গরু ১টি ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে রামদাশ মুন্সির হাঁট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশের সহায়তায় গরুর মালিক মাহবুবুল আলম চৌধুরী তার ৩টি গরু চিহ্নিত করেন। পুলিশ এ সময় ৩টি চোরাই গরুসহ কালীপুর ইউনিয়নের পালেগ্রামের আহমদুর রহমানের ছেলে শাহ মিয়া (৪৫) ও পুতন আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৪১) কে আটক করেন। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান, গরুচোরদের গ্রেফতার করতে পুলিশি প্রচেস্টা অব্যাহত থাকবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই গরু চুরির ঘটনায় আসল চোরদের আইনের আওতায় আনা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।