জেলার খবর

সোনাতলায় ঈদের মার্কেটে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতারাঃ নেই উপচে পড়া ভীড়

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

সোনাতলায় ঈদের মার্কেটে ক্রেতার অপেক্ষায় বিক্রেতারাঃ নেই উপচে পড়া ভীড়

বগুড়া সোনাতলায় সকল ধরনের দোকানপাট খোলার প্রথমদিন রোববার থেকে দোকান গুলোতে কেনা-কাটা করতে আসা লোকজনের ভিড় অনেকটা কম রয়েছে। যারা কেনাকাটা করতে আসছেন তাদের অধিকাংশই নারী। ক্রেতারা প্রায় সবাই মাস্ক পরা ছিলেন। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকের মুখেই ছিলনা মাস্ক।

প্রতিটি দোকানের মালিক-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স ব্যবহার করতে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ হতে।সোনাতলা কেন্দ্রিয় দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিষয়গুলো কঠোরভাবে মনিটরিংও করা হচ্ছে।চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি- বেসরকারি অফিস, দোকান-পাট ও মার্কেটগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সেই বন্ধের সময়সীমা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলেও সাধারণ মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ২৫ এপ্রিল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগ দেয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টায় খোলার পর বিকেল ৫টার মধ্যে তা বন্ধের শর্তও দেওয়া বেধে দেওয়া হয়।

২৭ শে এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টায় শহরের তিনমাথা মোড় মার্কেটগুলিতে ও বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাঁপড়,কসমেটিক,স্বর্নের দোকানীরা তাদের পণ্য বেচাকেনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আসে কিন্তু সে তুলনায় বেচাকেনা অনেক কম বলে জানায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

গত বছর ঈদের দুই সপ্তাহ আগে দোকানগুলিতে যেমন ভিড় দেখা গেছে এবার ঈদ মার্কেটে তেমন ভিড় নেই। আর ক্রেতাদের অধিকাংশই নারী। কাপড় এবং কসমেটিমেটিকের দোকানগুলোতেই তাদের বেশি কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।তবে গত বছরে অনেকের মুখে মাস্ক দেখা না গেলেও এবার মাস্ক ছাড়া কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি।

সোনাতলায় কাঁপড় কিনতে আসা মোছাঃ মনিরা বেগম,সুলতানা বেগম,আফরিনা বেগম নামে নারী ক্রেতারা জানান, ঈদে পরিবারের সবার জন্য কাঁপড় সহ কিছু কসমেটিক কিনতে তিনি এসেছি ৷ মুখে মাস্ক পরা ওই নারী ক্রেতারা আরো জানালেন সামনে ঈদ তাই সবাই নতুন কাঁপড় পড়ে ঈদ উদযাপনের করবে।

জৈনক এক কাঁপড় ব্যবসায়ী বলেন,এবার ক্রেতার সমাগম অনেকটা কম এর কারন হিসাবে তিনি বলেন যেহেতু গত কয়েকদিন আগে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে সরকার ঘোষিত লক ডাউন ছিল।

তাই ক্রেতাদের মধ্যে ওই বিষয়টি কাজ করছে অপরদিকে গ্রামে ধান কাটার ভরা মৌসম এটিও একটি কারন হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এহিয়া কামাল বলেন,স্বাস্থ্যবিধির দিকগুলি না মানলে সংক্রমনের সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি সবাইকে মুখে মাস্ক সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন।

সোনাতলা কেন্দ্রিয় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ জাহঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু বলেন, ইতিপুর্বে মার্কেটের দোকানগুলিতে সামাজিক দুরত্বের রং দিয়ে গোল দাগ দেওয়া হয়েছিল এবং সমিতির পক্ষ হতে দোকানদারদের মাস্ক ও সামাজিক দুরত্ব সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে বেঁচাকেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button