বাঁশখালীতে ২৫ ভূমিহীন পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর: এমপি মোস্তাফিজ ১০০ বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষনা।
এনামুল হক রাশেদী,বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে ২৫ ভূমিহীন পরিবারকে ঘরের চাবি হস্তান্তর: এমপি মোস্তাফিজ ১০০ বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষনা।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ২৫ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারের আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২৫ টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে বাঁশখালীর উন্নয়নের রুপকার খ্যাত সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বাঁশখালীর গৃহহীন মানুষদের জন্য নতুন করে ১০০ পরিবারকে ঘর করে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।
২৩ জানুয়ারী’২১ ইং শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ভিডিও কনফারেঞ্চের মাধ্যমে ঘরের চাবি হস্তান্তর কর্মসুচি উদ্বোধনের মাধ্যমে পৌরসভার দীঘিপাড় এলাকায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন চোখজুড়ানো এই ঘরগুলো নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষে বাঁশখালী অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মুমিনুর রহমান, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালিব সাদলী, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুর রহমান, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবিরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” আশ্রায়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” শেখ হাসিনার অবদান গৃহহীনের বাসস্থান’ এই শ্লোগানে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য স্থায়ীভাবে বাসযোগ্য গৃহ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দেশের বিভিন্ন উপজেলার খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সমূহকে পুর্নবাসনের জন্য উপহার দেওয়া হচ্ছে এসব আধাপাকা ঘর।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সকালে গণভবন হতে দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২টি উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ৬৯ হাজার ৯শ’ ৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘর প্রদান কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ের শুভ উদ্বোধন করেন। সকল ঘরে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানি সরবরাহের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
প্রতিটি জমি ও বাড়ির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে দেওয়া হয়েছে। দেশের গৃহহীন প্রতিটি মানুষ ঘর না পাওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০-২১ অর্থ বছরে গুচ্ছগ্রাম ২য় পযার্য়ে (সিডিআরপি) প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ “ক” শ্রেনীর জন্য ৩,০৬৫ টি পরিবারের জন্য প্রতি ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক (দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা) ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হল। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর বছরে অর্থাৎ মুজিববর্ষে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার। এক তলাবিশিষ্ট প্রতিটি ঘরে ইটের দেওয়াল,কংক্রিটের মেঝে এবং সবুজ রঙ্গিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শয়ন কক্ষের আবাসনে আরও থাকছে একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।
তারি অংশ বিশেষ বাঁশখালী উপজেলায় যাদের জমি ও নেই এই প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য উপজেলার ন্যায় বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভাস্থ ৬ নং ওয়ার্ডের দীঘিরপাড় এলাকার গুচ্ছগ্রামে সরকারিভাবে ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একটি করে ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে পরিবহন খরচসহ মোট এক লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মুমিনুর রহমান বলেন, ‘অসহায় মানুষদের দুঃখ লাঘবে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকারও আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’ এসময় তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাঁশখালীর সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেতনের বৈধ টাকায় একটি অংশ গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিতে অনুরোধ জানান। সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী নিজেকে সবচেয়ে দরিদ্র এমপি দাবি করে বলেন, দরিদ্র হলেও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি অন্তরের নিখাদ শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় আমি নিজস্ব তহবিল থেকে বাঁশখালীর গৃহহীন ১০০ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।